সুদীর্ঘ এক মাস সিয়াম বা রোজা পালনের পর আজ, শনিবার যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ইদ-উল- ফিতর উৎসব। সারা দেশের মুসলিমদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদ উদ্যাপন করা হয়।
জলপাইগুড়ি শহরের কালুশাহ মসজিদ, নবাববাড়ির মসজিদ, দিনবাজার মসজিদগুলিতেও পালিত হয় ইদ-উল- ফিতর উদ্যাপন। অনুষ্ঠিত হয় ঈদের নামাজ। ‘রোজার ঈদ’কে ইসলামি পরিভাষায় বলা হয় ঈদল ফিতর বা রোজা ভাঙার উৎসব। পুরো রমজান মাসে প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ উপোস ভাঙতেন। এটা শুধু সেদিনের রোজা বা উপসের ইফতার। রোজাদারের জন্য প্রত্যেক দিনের ইফতারের মুহূর্তই আনন্দের, ইদ-উল- ফিতরের দিন বিশেষভাবে আনন্দের ও উৎসবেরও। সুদীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর এই অবসরযাপন ও বিনোদন এক অনাবিল প্রশান্তি ও আনন্দ বয়ে আনে আমাদের জীবনে। আত্মীয়তা, ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বিভায় উজ্জল হয়ে ওঠে কয়েকটি দিন। আমাদের অবসাদ-ক্লিষ্ট জীবনের মরা গাঙে প্রাণশক্তির জোয়ার আসে। নতুন উদ্যম ও কর্মপ্রেরণা নিয়ে আমরা আবার কাজে ফিরতে পারি। নামাজের শেষে একে অপরকে আলিঙ্গন করে কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে খুশির ইদের পরিসমাপ্তি ঘটে।
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে শঙ্কর ভট্টাচার্যের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।