কবর থেকে মৃত তরুণের মুণ্ডু গায়েব। ঘটনাটি ঘটেছে, রাজগঞ্জের ভান্ডারিগছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেড় মাস আগে ওই তরুণ ও তার এক বন্ধুর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। কেন তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বাসিন্দাদের ধোঁয়াশা কাটেনি। সোমবার পরিবারের সদস্যদের নজরে পড়ে কবরের মাটি তোলা এবং তরুণের মুণ্ডু উধাও। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, কে বা কারা মুণ্ডু কেটে নিয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ২৩ ডিসেম্বর ভান্ডারিগছের দুই তরুণ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল। রাতে সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কাছে রাস্তার পাশ থেকে দু’জনকেই গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দু’জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনদিন পর একজন এবং আরেকজন চারদিন পর মারা যায়। মৃত ওই তরুণদের নাম রবিউল ইসলাম ও মুক্তি আজম। তবে ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলে মানতে রাজি নয় পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অভিযোগ, রবিউলের সঙ্গে এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই ওই কিশোরীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর দু’জনের দেহ পার্শ্ববর্তী গধেয়াগছ এলাকায় কবর দেওয়া হয়।
মৃতের বাবা কাবুল মহম্মদের অভিযোগ, এদিন ওই কবরস্থানে ধর্মীয় আচার করতে গিয়ে ছেলের কবরের মাটি তোলা দেখতে পান। তাই তার সন্দেহ, ছেলেকে খুন করা হয়েছিল। পুনরায় ময়নাতদন্ত হওয়ার ভয়ে অভিযুক্তরা দেহ তুলে নিয়ে গিয়েছে। তাই তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মঙ্গলবার পরিবারের তরফে আমবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত শেয়াল বা কুকুর ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবুও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, জলপাইগুড়ি।