বেআইনিভাবে বিলুপ্ত প্রজাতির ভাল্লুক নিয়ে খেলা দেখিয়ে মুনাফা অর্জন করছে ভিন রাজ্যের বেশ কিছু মানুষ বলে অভিযোগ। খবর পৌঁছয় বন দফতরের কাছে। বৃহস্পতিবার এখবর পাওয়া মাত্রই বন দফতরের কর্মীরা ছুটে যান গাজোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতইল এলাকায় প্রাইমারি স্কুলে। সেখানে একটি অটোতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ভাল্লুকটিকে। বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক করেন বিহারের দুই ভাল্লুক বহনকারী বাসিন্দাকে। যদিও তাদের দলে ছিল তিনজন। একজন পালিয়ে যেতে সমর্থ হয় বলেই জানিয়েছে বন দফতরের ওই সূত্রটি। এখবর চাউর হতেই ভাল্লুক দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান কৌতুহলী মানুষ। গাড়িতেই আটকে রাখা হয় ভাল্লুকটিকে। অটো গাড়িতে করে এলাকায় এলাকায় নিয়ে ঘোরা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় ভাল্লুক। বিহার থেকে জনা তিনেক ব্যক্তি লুপ্তপ্রায় ভাল্লুক নিয়ে খেলা দেখাচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামে। দিন হিসেবে ঠিক হয়েছে গাড়ি ভাড়া। গ্রামে গ্রামে ভাল্লুকের খেলা দেখিয়ে তাবিজ,কবজ বিক্রি করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেদার ব্যবসা করছিল বিহারের ওই বাসিন্দারা। অটোতে করেই পৌঁছচ্ছেন গাজোল ব্লকের প্রতন্ত গ্রামে। এমনই ছবি দেখা গেল গাজোল ব্লকের গাজল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতইল এলাকায়
সংশ্লিষ্ট ব্লকের গাজোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতইল এলাকায় থেকে গাজোল ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সুদর্শন সরকারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার আটক করা হয় অসহায় ভাল্লুককে। এরপর মালদা বনবিভাগের হাতে তুলে দিলেন বন কর্মীরা। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের দুই বাসিন্দাকে। পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল বনদপ্তর ও মালদা জেলা বনদপ্তর। কিভাবে বিলুপ্তপ্রায় ভাল্লুকটি তাদের কাছে এলো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল ও মালদা রেঞ্জ বনদপ্তর। আটক করা ভাল্লুকটিকে খাঁচা বন্দি করে মালদা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, গাজোল।