সন্ধ্যে হলেই প্রকাশ্যে বসে মদ্যপানের আসর। বিহার থেকে মদ খেতে আসে দুষ্কৃতীরা। বেআইনি মদের দোকান বন্ধ করতে গ্রামবাসীরা ছুটে এলেন থানায়।
সন্ধ্যে হতেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রকাশ্যে বসে মদের আসর। বিহার থেকে দলে দলে মদ্যপায়ীরা। আসে কুশিদা সদর এলাকায়। এদের মধ্যে দুষ্কৃতীরাও রয়েছে। সব বেআইনি মদের দোকানগুলিতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মদ বিক্রি। কুশিদা বাঁধ রোডে এই মদের দোকানের জন্য মাতালদের অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ করে কোনওরকম ফল না পেয়ে এবারে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় দল বেঁধে ছুঁটে এলেন মহিলারা। তাদের দাবি, অবিলম্বে ওই এলাকার বেআইনি মদের ঠেকগুলি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা। অভিযোগ পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা নবনিযুক্ত আই সি দেওদুত গজমের বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ওই এলাকায় যান। তড়িঘড়ি মদের ঠেকগুলি বন্ধ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আশ্বাস দেওয়া হয় ওই এলাকায় আর বেআইনি মদের ঠেক খুলতে দেওয়া যাবে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁধ রোড এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক চালায় এলাকারই বাসিন্দা নিমাই সাহা, মিঠুন দাস এবং স্বপন দাস। ওই মদের ঠেকে বিকেল থেকে আড্ডা জমায় পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বিহারি মদ্যপায়ী এবং দুষ্কৃতীরা। মাতালদের অত্যাচারে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার বাসিন্দাদের ওই মদের দোকানদাররা প্রাণ-নাশের হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না ওই এলাকার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। বারংবার প্রতিবাদ করেও কোনও ফল না মেলায় এবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে এলাকায়। অবিলম্বে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো বড়-সড় অপরাধ ঘটার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় গিয়ে বেআইনি মদের ঠেকগুলি বন্ধ করে দেন। ওই এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে বলেও আশ্বাস দেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি দেওদুত গজমের।
ফোর্টিন টাইমলাইন, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালদা।