হাওড়া ব্রিজের মাথায় এক মানসিক ভরসাম্যহীন যুবক উঠে পড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয় তড়িঘড়ি। তারা পৌঁছে পরিস্থিতির সামাল দেন।
সূত্রের খবর, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁকে হাওড়া সেতুর মাথায় দেখে প্রথমে হতবাক হয়ে যান সকলে ৷ দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকলে ৷ দমকলের আধিকারিকরা এসে তাঁকে হাওড়া ব্রিজের মাথার উপর থেকে নামানোর প্রয়াস শুরু করেন ৷ তবে ওই যুবক কিভাবে ব্রিজের মাথায় উঠে গিয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না পুলিশ ও দমকল কর্তারা ৷
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে হাওড়া ব্রিজে। তাঁকে নামাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকদের ৷ দীর্ঘক্ষণ যাবত বহু চেষ্টার পর রাতে ওই যুবককে ব্রিজের উপর থেকে নামানো সম্ভব হয় ৷ পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এক যুবক হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে যান৷ সেখানে ওই সময় কর্মরত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে হাওড়া ব্রিজের মাথায় দেখে প্রথমে হতবাক হয়ে যান৷ দ্রুত খবর দেন দমকলে ৷ খবর পেয়ে দমকল অফিসার তপন কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল হাওড়া ব্রিজে আসেন৷ দমকলের আধিকারিকরা এসে তাঁকে হাওড়া ব্রিজের মাথার উপর থেকে নামানোর প্রয়াস শুরু করেন ৷ যদিও ওই যুবককে হাওড়া ব্রিজের মাথা থেকে নামাতে বেশ বেগ পেতে হয়৷ ওইদিন রাত প্রায় ১:৩০ নাগাদ তাঁকে হাওড়া ব্রিজের মাথা থেকে নামানো সম্ভব হয় ৷ তাঁকে নামিয়ে এনে তাঁরা নাম-ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন৷ জানা গিয়েছে, ওই যুবকটির নাম মহম্মদ সোহেল ৷ বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে ৷ সে কিভাবে রাঁচি থেকে হাওড়ায় চলে এল, তা বুঝতে পারছেন না পুলিশের আধিকারিকরা ৷
এই বিষয়ে পুলিশ আরও জনায়, গভীর রাত বলে হাওড়া ব্রিজ প্রায় ফাঁকাই ছিল ৷ ফলে ওই যুবকটিকে নামিয়ে আনতে সুবিধা হয়৷ পাশাপাশি যানজটেরও সৃষ্টি হয়নি ৷ এর আগে অফিস টাইমে বেশ কয়েকবার হাওড়া ব্রিজের মাথায় এক যুবক উঠে পড়ায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পুলিশকে৷ মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল ওই দৃশ্য দেখতে৷ এদিন অবশ্য সে ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি ৷পুলিশ তাঁকে নামানোর পর উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই যুবকের বাড়ির লোকজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ৷