পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাটের কোটি কোটি নগদের উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। আর এর মধ্যেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের খবর,চাকরি সংক্রান্ত লেনদেনের জন্য জেলায় জেলায় নিয়োগ করা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক এজেন্ট। তাদের মাধ্যমেই চাকরির টাকা পৌঁছত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অর্থাৎ পার্থ চট্টপাধ্যায়ের কাছে। এজেন্টদের মাধ্যমে কীভাবে টাকা হাতবদল হত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মিলেছে হাওয়ালা যোগ। এরইমধ্যে পার্থ গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে আসছে তাঁর কালো কারবারের নানা তথ্য। মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, নোটবন্দির সময় উত্তরবঙ্গের একাধিক সমবায় ব্যাংক থেকে পার্থর বিশাল অঙ্কের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য সিকিম ও প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটান ঘুরে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পৌঁছেছে কলকাতায়।
এমনকি সমবায় ব্যাংক থেকে কালো টাকা সাদা করার পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছিলেন উত্তরবঙ্গের এক নেতা। কীভাবে, কখন, কোন ব্যাংকে কত টাকা জমা পড়বে, সেই টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বা কত টাকা নগদে তোলা হবে, সেসবই ওই নেতার নির্দেশে হত। নেতার ঘনিষ্ঠ বেশকিছু সক্রিয় কর্মী লেনদেন বা টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত। নোটবন্দি পর্বে দফায় দফায় একাধিক জেলার সমবায় ব্যাংক থেকে একই পদ্ধতিতে ওই অবৈধ কোটি কোটি টাকা বৈধ করা হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা বেশ কিছু নথিতে এমন টাকা লেনদেনের কিছু সাংকেতিক শব্দ পাওয়া গিয়েছে। তাতে সমবায় ব্যাংকের উল্লেখও আছে। তার রেশ ধরেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের একাধিক সমবায় ব্যাংকের নোটবন্দি সময়কালীন লেনদেনের তথ্য যাচাই করে দেখতে পারে ইডি। এই এলাকার মানুষগুলিও চাইছেন এজেন্টদের মাধ্যমে মাথা টেনে বার করা হোক।