Malda : নির্যাতনের জেরে শ্বশুরবাড়িতেই বধূ আত্মঘাতী !

আরও পড়ুন

দৈহিক এবং মানসিক নির্যাতনের জেরে শ্বশুরবাড়িতেই গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ (!) ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজপুরা গ্রামে। আত্মঘাতী গৃহবধুর নাম ফুলমণি খাতুন। বয়স ৩০ বছর। অভিযোগ পেয়ে ফুলমণি খাতুনের স্বামী নুরুদ্দিন ইসলাম এবং তার ননদ নাসো বিবিকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত আট বছর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিপাকোর গ্রামের বাসিন্দা ফুলমণির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম বেজপুরা গ্রামের বাসিন্দা নুরুদ্দিনের বিয়ে হয়। নুরুদ্দিনের-এর আগেও দুটি বিয়ে হয়েছিল। আগের দুই পক্ষকে তালাক দেওয়ার পরেই ফুলমণির সঙ্গে তার বিয়ে হয় বলে জানিয়েছে ফুলমণির পরিবার। ফুলমণি ও নুরুদ্দিনের এক ছেলে এক মেয়ে। ফুলমণির পরিবারের অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরেই নুরুদ্দিন এবং তার বৌদি বেলো বিবির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এই জন্য প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল লেগে থাকতো। ফুলমণি প্রতিবাদ করতে গেলে স্বামী নুরুদ্দিন-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মিলে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতো বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যা বেলায় ফুলমণি খাতুনকে তার শ্বশুরবাড়িতে শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ফুলমণির মায়ের অভিযোগ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।

মৃত ফুলমণি খাতুনের মা সাজিদা বিবি জানান, আমার মেয়েকে দিনরাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত ওর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। মোটা মেয়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ফোর্টিন টাইমলাইন, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালদা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close