ভারত-চিন সীমান্তে চিনা যুদ্ধবিমান, ড্রোনের নজরদারি দেওয়ায় হুঁশিয়ারি ভারতের। শান্তি চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফিরে আসার বৈঠকে ভারতের সঙ্গে একমত হয়েছে চিন। কিন্তু এর পরেও পূর্ব লাদাখে ভারতের আকাশসীমানায় বারংবার ঢুকে পড়তে দেখা গিয়েছে চিনা যুদ্ধবিমানকে। সীমান্ত এলাকার আশপাশে নিয়ম ভেঙে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিনের ড্রোন।
সেনা সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি এলাকায় চিন তাদের এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম বসিয়েছে। সেখানে যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানের মহড়া চলছে। সেই মহড়াই ভারতীয় সীমান্তের দিকে চালনা করা হয়েছে। রেডারেও ধরা পড়ে যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি। চুক্তি অনুযায়ী, এলএসি-র ১০ কিলোমিটারের মধ্যে দু’দেশের আকাশযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু চিন সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে না বলেই অভিযোগ ভারতের।
সীমান্তের খুব কাছেই প্রচুর যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রেখেছে চিন। নতুন করে সেনা মোতায়েন করার সঙ্গে সঙ্গে সামরিক ঘাঁটিও তৈরি করার অভিযোগ চিনা সেনাদের বিরুদ্ধে । এর থেকেই স্পষ্ট, এখনও সীমান্ত ছাড়তে রাজি নয় চিন। ভারতীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় চিনের হামলা চালানোর আশঙ্কা। তবে ভারতের পক্ষ থেকে করা হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে।
সাময়িক বিশেষজ্ঞদের অনুম ান এমন উস্কানিমূলক কাজ চালিয়ে গেলে চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। তার উত্তর নিয়ে নজরদারি চালাবে সীমান্তে। ফলে উত্তেজনা বাড়বে বই কমবে না।
উল্লেখ্য, ফি বছর নভেম্বর থেকে শীতের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। সেই সময় কাশ্ম সীমান্ত দিয়ে জঙ্গির শোক ঢোকাতে শুরু করে পাকিস্তান। দু’ বছর আগে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা আগ্রাসন বৃদ্ধি পায়। এরপর থেকে চুপ করে বসে ছিল না ভারতও। কার্যত ভারত রুখে দ্বারা নয় দাঁড়ানোয় কিছু হটে চিন। কিন্তু নতুন করে ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান নিয়ে চিন মহড়ার নামে নজরদারি চালানোয় রীতিমতো প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। সমস্যার সমাধান না মিললে ভারতও ড্রোন, তেজস বিমান নিয়ে নজরদারি চালানোর পরিকল্পনায় বদ্ধপরিকর। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ‘৬২ সালের ভুল নীতির মাসুল দিতে আর রাজি নয়, জাতীয়তাবাদী মোদি সরকার। তারাও খুব শীঘ্রই পাঠ সীমান্তে বসিয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে উদ্যোগী হয়েছে।
টাইমস ফোর্টিন ব্যুরো, লাদাখ।