জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ভারতীয় সেনা বাহিনী খতম করল মহম্মদ আলি হুসেন নামের এক পাক জঙ্গিকে। ওই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র । যা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য বলে মনে করেছেন অনেকেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষা কঠোর করে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চালানো শুরু হয়েছে ।
পুলিশি সূত্রে খবর, ওই জঙ্গি সীমান্তের কাছে ড্রোন মারফত অস্ত্র সস্ত্র পাচার করত। যার সঙ্গে জড়িত ছিল পাকসেনা এবং পাকগোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স বা আই এস আই। লস্কর-ই-তৈবা ও আল-বাদর সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অন্যতম পরিচালক ছিল মহম্মদ আলি হুসেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই জম্মুর কোট বালওয়াল জেলে বন্দি ছিল ওই পাকিস্তানি জঙ্গি। সেখান থেকেই অস্ত্র পাচার ও বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজকর্মের কাজ পরিচালনা করত।
জেল কতৃপক্ষ অস্ত্র পাচারের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আদালতে পেশ করে পুলিশ রিমান্ডে নেয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেই সময় এক পুলিশ অফিসারের বন্দুক ছিনিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এরপর পুলিশের পাল্টা হামলায় গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় ওই পাকিস্তানি জঙ্গি। পুলিশের অনুমান, এইসব অস্ত্র চিনে তৈরি যা পাক জঙ্গিরা এইসব অস্ত্রশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনগুলি জম্মু-কাশ্মীরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের কাছে পাচার করে নাশকতা চালানোর উদ্দেশে। এমন ঘটনার পর জঙ্গি ঢোকানোর কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পারে পাকিস্তান বলেও খবর।
টাইমস ফোর্টিন ব্যুরো , জম্মু ও কাশ্মীর।