সোমবার মিলনমেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই মিলন মেলার নাম বদলে দিলেন বিশ্ব বাংলা প্রাঙ্গন। সোমবার সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মতামত প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যম কে তোপ রেখে বলেন যে ”এখানে কোনও ঘটনা ঘটলে আগে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করে,পুলিশ এখনো কিছু জানতে পারেনি , অথচ
নিউস চ্যানেল গুলোতে দেখানো হচ্ছে যে একটি বাচ্চা মেয়ে ধর্ষণের ফলে মারা গিয়েছে। আপনি এটাকে ধর্ষণ বলবেন, না অন্তঃসত্ত্বা, না লাভ আফেয়ার্স সেটা তদন্ত করে দেখেছেন কী”? মেয়েটি মারা যায় ৫এপ্রিল কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে আমরা খবর পায় ১০ এপ্রিল। মমতা এও বলেন যে ” যদি মেয়েটি ৫ তারিখ মারা গিয়ে থাকে তাহলে অভিযুক্তের নামে ৫ তারিখে কেন অভিযোগ দায়ের করা হল না কেন ১০ তারিখে অভিযোগ করা হল ”?
ওই নাবালিকার মৃত দেহ পুড়িয়েও ফেলা হল তাহলে এবার আমরা প্রমান পাব কোথা থেকে ? কোন প্রমানের ওপর জোর খাটিয়ে আপনারা এটা বলছেন যে মেয়েটি সত্যিই ধর্ষণ হয়ে মারা গিয়েছে। এরপরে মমতা বলেন যে, ”আমি সবটা না জেনেই বলছি, মেয়েটির সঙ্গে নাকি অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবার প্রশ্ন হচ্ছে যে , মেয়েটি কি আগে থাকতেই অন্তঃসত্ত্বা ছিল না অন্য কোনো কারণ তা এখনও পুলিশ জানতে পারেনি তবে অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তদন্ত চলছে ”। ”এখন যদি একটি মেয়ে প্রেম করে তাহলে সেখানে আমার কিছু করার নেই কারণ মেয়েটি উপযুক্ত এবং তার স্বাধীনতা আছে।
এমনকি এই ঘটনা নাবালিকার বাড়ির লোকরা জানতো সঙ্গে পৰ প্রতিবেশীরাও জানতো বলে সূত্রের খবর। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আমি লাভ জিহাদ শুরু করব। এটা তার স্বাধীনতা। তবে অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করা হবে।”
“গ্রেফতার করতে গিয়ে কোনও রঙ দেখা হচ্ছে না। মনে রাখবেন, এটা মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লিতে হয় না, এটা একমাত্র বাংলায় হয়,” বলেন মমতা। এরপরেই সংবাদ মাধ্যমকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, “সব জায়গায় তৃণমূলকে টানছেন কেন? যখন দেশের সমস্ত পণ্য দ্রব্যের মূল্য উর্ধতরে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র তখন সেই সংবাদ গুলো বিজেপির বিরুদ্ধে কেন দেখানো হয়না বাংলা নিউস চ্যানেল গুলোতে। ”