লকডাউনের আগে এক প্রবীণ নাগরিক বেসরকারি সংস্থা থেকে স্বাস্থ্যবিমা করিয়েছিলেন। ফলে লকডাউনে বেশ কয়েক মাসের প্রিমিয়াম বাকি পরে যায়। এরপর সংস্থার নাম করে তার কাছে একটি ফোন আসে। খবরসূত্রে জানা যায়,সেই সংস্থা থেকে তাকে বলে যে, তার বিমাটি চালু করতে হলে অ্যাকাউন্টের চেক দিয়ে ২০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। বাড়ি এসে সেই চেক নিয়ে যান ব্যাঙ্কের এজেন্ট।বিশ্বাস করে সেই এজেন্টের দেওয়া কলম দিয়েই সেই চেক লিখে দেন প্রবীণ নাগরিকটি। বিশ্বাস করে তার পেন দিয়ে সই করে তিনি নিজের প্রায় দেড়-লক্ষ্য টাকা খোয়ালেন। পরের দিন তা জানতে পেরে মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা হয় সেই নাগরিকের।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি পুরোটাই ম্যাজিক পেনের দ্বারা করা হয়েছে। এই ঘটনা ছাড়াও রাজ্যজুড়ে এখন অভিনব জালিয়াতির আরও অনেক খবর আসছে এখন পুলিশ প্রশাসনের কাছে। তাই এখন নিজের পেন দিয়েই চেকে সই করার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। বেশ কয়েকমাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রহস্যভেদ করেছেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে প্রতারকদের পেন দিয়ে। এই পেনের মধ্যে এমন কালি আছে যা পেনের পিছনে থাকা রবারের সাহায্যে মোছা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকরা ব্যাঙ্ক এজেন্ট হয়ে বাড়িতে কথার জালে ফাঁসিয়ে চেকে সই করিয়ে নিচ্ছে।
গ্রাহকরা বুঝতেও পারেননা তাঁরা নিজেরে অজান্তেই নিজেদের সারাবছরের গচ্ছিত অর্থ প্রতারকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তাঁরা গ্রাহকের সই অটুট রেখে, টাকার অংকটি ম্যাজিক পেনের সাহায্যে মুছে তাঁরা চেকটিকে ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’-এ পরিণত করে দিচ্ছে।তারপর তাঁরা চেকটিতে নিজেদের মনের মতো টাকার অঙ্ক বসিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে।রাজ্য পুলিশ সূত্রের অনুমান, প্রতারকরা প্রবীণদেরকেই টার্গেট করেছে কারণ প্রবীণদের মধ্যে অনেকেই ব্যাঙ্কে যেতে পারেন না। ফলে, তাদের বাড়িতে বসে ব্যাঙ্কের কাজ হয়ে গেলে তাদের জন্যেই অনেক সুবিধে হবে। আর, তাদের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণও অনেকটাই বেশি।