সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা দাঁড়িয়েছে পুলিশ আবাসনের। দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভগ্ন কোনও বাড়ি। দেওয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। রীতিমতো স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। আর তার মাঝেই থাকতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। এবার দিনের বেলায় সেই আবাসন থেকে বেরোলো বিষাক্ত সাপ। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আবাসন জুড়ে। সঠিক সময়ে আবাসনের মেরামতি না করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ কর্তারা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আবাসনের বেহাল দশা একঝলক দেখলে বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। তার মাঝেই বসবাস করতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের। আবাসনের ভগ্নপ্রায় দশা। বিভিন্ন জায়গায় রং উঠে গেছে। গজিয়ে উঠেছে আগাছা। এক কথায় বসবাসের অযোগ্য পরিবেশ। ফলে স্বাভাবিকভেবেই এই ধরনের জায়গায় সাপ,পোকা মাকড়ের উপদ্রব থাকবে বৈকি। বুধবার দিনের আলোতেই আবাসনে দেখা গেল বিষাক্ত সাপ। যে সাপ এখনো পর্যন্ত আবাসনের ভেতরেই আছে বলে জানা গেছে। প্রত্যাশিতভাবেই নিরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন করছেন আবাসনে বসবাসকারী পুলিশকর্মীদের পরিবার। সংস্কারের অভাবেই এই ধরনের বেহাল দশা পুলিশ আবাসনের। সরকারের পক্ষ থেকে কেনও সঠিক সময়ে সংস্কার করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে সাধারণ এলাকার মানুষ। কারণ যে পুলিশকর্মীরা অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে মানুষের নিরাপত্তার জন্য দিনরাত কাজ করেন। তাদের থাকার জায়গার এই ধরনের বেহাল দশা হলে তা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশ আবাসনের অবস্থা সত্যি খারাপ। আজ সাপ বেরিয়েছে, তা হল গাছে থাকা উড়ন্তি সাপ। খুব বিষাক্ত। যে পুলিশকর্মী আমাদের জন্য সব সময় কাজ করেন বিপদের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের থাকার জায়গাটি পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরী।
মালদহ জেলার শুধু হরিশ্চন্দ্রপুর থানাই নয়, বিভিন্ন থানাতেই পুলিশ আবাসনগুলির অবস্থা জড়াজীর্ণ। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা পুলিশ আবাসনগুলিতে। সাধারণ মানুষ যেনও নিশ্চিন্তে নিরুপদ্রবে দিন যাপন করতে পারেন, রাতে ঘুমোতে পারেন সেই কাজে সর্বদা অতন্দ্র প্রহরীরূপে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কিন্তু তাদের বা তাদের পরিবারবর্গের থাকার জায়গা যদি এই ধরনের হয় তা সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক। সরকারের উচিত- দ্রুত এই আবাসনগুলি সংস্কারের ব্যবস্থা করা। যেনও পুলিশকর্মীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিন্তে অন্তত ঘুমোতে পারেন।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।