Raiganj & Barsoi : রায়গঞ্জ-বারসই সড়ক নির্মাণে বিহারে মোহিত

আরও পড়ুন

রায়গঞ্জ-বারসই ভায়া বাহিন সড়ক তৈরিতে বণিক সভার সদস্যদের নিয়ে বিহারের বিধায়কের দ্বারস্থ মোহিত। রবিবার বণিকসভার সমস্ত প্রতিনিধিদের ছুটির দিন মাটি করে রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত পৌঁছলেন বিহারের বলরামপুরের বিধায়ক মেহেবুব আলম এর কাছে। এমন সড়ক পথ নির্মিত হলে নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হবে রায়গঞ্জ এবং বারসই-এর মধ্যে। বিহারের বলরামপুর এর বিধায়ক মেহেবুব আলমের কথায়-এই সড়কটি নির্মিত হলে রায়গঞ্জের সঙ্গে সড়ক পথের দূরত্ব হবে মাত্র ২০ কিলোমিটার। বাংলায় যা উন্নতি হওয়ার হয়েছে, কিন্তু বারসই এলাকাটি একটি জমজমাট জনপদে পরিণত হবে।

রবিববার রায়গঞ্জ বারসই সড়ক পথ ও সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক্তন বিধায়ক ও বিহারের বিধায়কের মধ্যে বৈঠক সম্পন্ন হল। রায়গঞ্জ থেকে বারসই সড়কপথ নির্মাণের কথা বহু চর্চিত হলেও এখনও তার নির্মাণকাজ বিশবাও জলে। তাই সেই সড়ক পথ নির্মাণের উদ্দেশে প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বণিক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে এদিন বলরামপুর ৬৫ -র বিধায়ক মেহবুব আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মেহবুব আলম জানান-বাহিন ঘাটের পাশ দিয়ে নাগর নদী ওপর দিয়ে সেতু নির্মাণ ও সড়কপথ তৈরির জন্য ২০১৬ সালে তার কাছে নো -অবজেকশন চাওয়া হয়। তিনি ও তৎকালীন বিহারের জেলা প্রশাসক এন ও সি দিলেও সেতু নির্মাণের কাজ এক চুলও এগোয়নি। শুরু হয়নি বা পরবর্তীতে রায়গঞ্জের বর্তমান বিধায়ক সেটি নিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তখনও নো-অবজেকশন দিয়েছিলেন। তারপরেও কেনও সেই সড়কপথ নির্মাণ হয়নি সেটি তিনি জানেন না বলেই জানান । রায়গঞ্জ থেকে বরসই সড়ক পথের দূরত্ব বর্তমানে ৪০কিমি, ওই সেতু এবং সড়কপথটি নির্মিত হলে দূরত্ব গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র ২২কিমিতে। এতে লাভবান হবেন দুটি রাজ্যের অসংখ্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ। নদীর অন্যপ্রান্তে অবস্থিত বিহারের নয়নতলিতে সড়কপথ নির্মাণ হয়ে গেছে বলেও জানান বিধায়ক মেহেবুব। ঋণ বিহারের বলরামপুরের বিধায়ক মেহেবুব আলম আর কি কি জানিয়েছেন শুনুন-

এদিন কটিহার জেলার বারস‌ই-এর শিবানন্দপুরের বৈঠকে মোহিত সেনগুপ্ত জানান, সড়কপথটি নির্মিত হলে বারস‌ই এর সঙ্গে সঙ্গে লাভবান হবেন রায়গঞ্জ-এর মানুষ তথা এতদ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও । রবিবার বিধায়ক এর সঙ্গে বৈঠকের পর পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শংকর কুন্ডু কি জানিয়েছেন শোনাব-

পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করায় রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত ও বণিক সংগঠনের সদস্যরা বিহারের বলরামপুরের বিধায়কের মাধ্যমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বিহার সরকারের মাধ্যমে এই সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে বৈঠক করতে এসেছেন। যদিও এদিন মেহবুব আলম সড়ক কিংবা সেতু নির্মাণ নিয়ে পুনরায় নো-অবজেকশন দেন। তবে তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ সেতুটি তাদের দিক দিয়ে করা সম্ভব কিনা সেটি তিনি আলোচনা করে জানাতে পারবেন। এখন দেখার- রাস্তাটি কে নির্মাণ করছে বিহার না বাংলা। নাকি সেটিও শুধু রাজনৈতিক দলের আলোচনার পর থমকে যাচ্ছে।

বিহারের বারসই থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close