পুরনো রীতি অনুযায়ী মহালয়ার অমাবস্যাতে মা দুর্গার চক্ষুদান হয়ে আসছে। সেই রীতি এখনও প্রচলিত রয়েছে। সেই রীতি মেনেই চক্ষুদান হল আদি কংসবণিক দুর্গাবাড়ি মন্দিরের মা-র।
মহালয়া মানেই দেবীপক্ষের সূচনা। আকাশে-বাতাসে এখন মা দুর্গার আগমনীর সুর। আকাশের পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ এবং কাশফুলের দোলা জানান দিচ্ছে পুজোর আর দেরি নেই।
রবিবার মহালয়ার অমাবশ্যায় মালদার দুর্গাবাড়ি এলাকায় আদি কংসবণিক দুর্গামন্দিরে নিয়ম রীতি মেনে মায়ের চক্ষুদান করেন মৃ্ৎশিল্পী।
আদি কংসবণিক সম্প্রদায়ের এক সদস্য নব কুমার মন্ডল বলেন, পুরনো প্রথা মেনে মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। প্রায় ৩০০ বছর আগে কংসবণিক সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধা মহানন্দা নদীতে স্নান করতে গিয়ে একটি পাথরচক্র কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। প্রথমে সেই পাথর চক্রটি নদীর ধারেই রেখে দেন তিনি। পরে স্বপ্নাদেশে চন্ডী রূপে সেই পাথরচক্রের পুজো শুরু হয়। তৎকালীন জমিদার গিরিজানন্দ দাস এই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। পরবর্তীতে সেই পুজো কংসবণিক সম্প্রদায়ের হাতে হস্তান্তর করেন তিনি।
সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। কিন্তু আজও বদলাইনি এই আদি কংসবণিক সম্প্রদায়ের দুর্গাবাড়ির পুজোর নিয়ম-আচার। মহালয়ার অমাবস্যাতে মায়ের চক্ষুদান হওয়ার পর নতুন বস্ত্র দিয়ে সেই প্রতিমা ঢেকে দেওয়া হয়। ষষ্ঠীর আগে সেই প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন না কেউ বলে খবর। নিয়ম রয়েছে ষষ্ঠীর দিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের দর্শন করেন আদি কংসবণিক সম্প্রদায়ের সদস্যরা। আজও সেই পরম্পরা ধরে রেখেছেন এই সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।