প্রয়াত লোকসংগীত শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের প্রশস্তি গেয়েই রায়গঞ্জের মানুষের হৃদয় জয় করে গেলেন শিল্পী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে রায়গঞ্জের উদয়পুরে দিপালী উৎসবের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গান গাইতে এসে সংগীত শিল্পী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন-যার জন্য আমার লোকসংগীত গাওয়া, যাঁকে আমি কথা দিয়েছিলাম-‘তোমার মাটির গান ছেড়ে আমি কোথ্বাও যাব না’।
খুব কায়দা করে কথা দিয়েছিলাম, বুঝতে পারিনি- যে আমায় মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যাবে! বুঝতে পারিনি- যে কখন কত কি শিখিয়ে দিয়ে চলে গেলে, বুঝতে পারিনি- যে তিনি অজান্তেই হয়তোবা বলেছিলেন- ‘পৌষালী জীবনের রাস্তায় একাই তোমায় হাঁটতে হবে, তুমি শুধু আনন্দ দিয়ে যাও, বাকিটা ঈশ্বর বুঝে নেবেন’। তুমি- কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। একটা জোরে হাততালি হয়ে যাক আমার কালিকাদার জন্য- ওঁকে দিয়েই শুরু, ওঁকে দিয়েই শেষ! দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার পর শিল্পীর অজান্তেই চোখ থেকে গড়িয়ে যাওয়া জল সযত্নে আলতো করে মুছে নেন পৌষালী।
এরপর শ্রীকৃষ্ণ ঠাকুরের প্রণামমন্ত্র হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উচ্চারণ করে খানিকটা থেমে পৌষালী বলেন, আমি একটু আগেই শুনলাম- কালিকাদা এখানকার জামাই ?
শিল্পীর কথা শেষ না হতেই দর্শকাশন থেকে সমস্বরে হ্যাঁ, বলে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই পৌষালী গেয়ে ওঠেন ‘তারে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আর তো পাবো না।
রায়গঞ্জের উদয়পুর দীপাবলি উৎসবের মঞ্চ থেকে পবিত্র কমল রায়ের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।