Uttar Dinajpur : বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ন্যাসিনীর বেশে ক্লাস নেওয়ায় খুশি পড়ুয়ারা

আরও পড়ুন

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপিকা ড. রুমকি সরকার সন্ন্যাসিনীর বেশে ক্লাস নিচ্ছেন। রুমকিদেবীর দাবি- তিনি এই বেশে অনেক বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক দুর্লভ সরকার জানিয়েছেন, অধ্যাপকদের পোষাক পরিচ্ছদের উপর তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করেন না। তাঁরা চান- কোয়ালিটি শিক্ষাদান। রুমকিদেবী সেই কাজটা সঠিক এবং দায়িত্বের সঙ্গে করান।

রাজ্যের এমন কলেজ অধ্যাপক সন্ন্যাসিনীর বেশে ক্লাস নেন এমন ঘটনা খুব বেশী নেই। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রুমকি সরকার এমনই বিরল কাজ করে দেখালেন।

প্রসঙ্গত, রুমকিদেবী ২০০৬ সালে ২১ বছর বয়সে বর্ধমানে চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন। ২০১০ সালে স্কুলের চাকরি ছেড়ে বীরভূম সহকারি অধ্যাপনায় যোগ দেন। ২০১৬ সেই কলেজ থেকে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যাপিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন। রুমকিদেবী আগাগোরাই কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ এগুলি থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলেন। এগুলি থেকে দূরে থাকতে হলে সন্ন্যাস জীবন যাপন করাই একমাত্র পথ। বছর দেড়েক আগে তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে দীক্ষা নেন। একজন অধ্যাপিকা তিনি সন্যাসিনী হিসেবে জীবন যাপন করবেন এটা তাঁর পরিবার প্রাথমিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু রুমকিদেবী নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় পরিবারের আপত্তি ধোপে টেকেনি। নিজের অবস্থান থেকে অবশেষে সন্যাসিনী হিসেবে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তার দীক্ষা জীবনের পর অধ্যাপনার কাজে খুব বেশী যুক্ত হননি। পুজোর ছুটি কাটিয়ে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু হয়েছে। অন্য অধ্যাপকদের সঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপিকা রুমকি সরকারও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। একদিকে ছাত্রছাত্রীদের পঠন পাঠন ছাড়াও গবেষণার কাজ সমানতালে চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। রুমকিদেবীর শিক্ষাদানে খুশী ভূগোল বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। একজন অধ্যাপিকা যে ধরনের পোষাক পরিচ্ছদ পড়ে আসেন তার থেকে রুমকিদেবী অন্য ধরনের পোষাক পড়লেও তা ছাত্রছাত্রীরদের উপর খুব বেশী প্রভাব পড়ছে না। সুরজিৎ রায় ভূগোল বিভাগের এক ছাত্র জানালেন- ম্যাডামের শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে তাদের এই বিষয়ে অনেক বেশী আগ্রহ বেড়েছে। ম্যাডামের কাছে যে কোনও বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সুন্দর করে সেই বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছেন। রুমকিদেবী জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি সন্যাস নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কোনও ব্যক্তির কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ থেকে দূরে থাকলে কাজের ক্ষেত্রে অনেকবেশী একাগ্রতা অর্জন করা সম্ভব। তার সন্যাসিনীর পোষাক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুব বেশী প্রভাব পড়েনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক দুর্লভ সরকার জানিয়েছেন, অধ্যাপকরা কে কোন পোষাক পড়ে এলেন তা তাদের বিচার্য বিষয় নয়। তাঁরা চান- কোয়ালিটি টিচিং। সেই কাজ দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপকরা করেন।

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close