প্রতিষ্ঠানের সুনাম বিনষ্ট করতেই বিরিয়ানির প্যাকেটে ইঁদুর ঢোকানো হয়েছে, বললেন দোকান মালিক সুব্রত রায়। তাঁর কথায়- তিনি পাঁচ বছর যাবৎ রায়গঞ্জ শহরে এই ব্যবসা করছেন। তাছাড়া তাঁর দোকানের প্লেটের রং-ও আলাদা। শ্রী রায়ের কথায়-রায়গঞ্জে প্রথম প্যাকেটে বিরিয়ানি বিক্রির ‘কনসেপ্ট ‘নিয়ে এসেছিলেন তিনিই, এখন অনেক দোকান গজিয়ে উঠেছে। দোকান মালিক সুব্রতবাবু দৃঢ়তার সঙ্গেই জানান- প্যাকেটের মধ্যে মরা ইঁদুর ঢোকা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি দোকানের বিরিয়ানির প্যাকেটে ইঁদুর পাওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই উত্তর দিনাজপুর জেলার সেফটি অফিসারকে নিয়ে অভিযানে নামে পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও বিরিয়ানির প্যাকেটে ইঁদুর পাওয়ার ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘টাইমস ফোর্টিন বাংলা’।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রায়গঞ্জ শহরের খাবারের দোকানগুলিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক খতিয়ে দেখতে অভিযানে নেমেছিল রায়গঞ্জ পুরসভা। সঙ্গী উত্তর দিনাজপুর জেলার ফুড সেফটি অফিসার। ওইদিন ট্রেড লাইসেন্স করে নেওয়ার জন্য তাদেরকে সতর্কীকরণ করা হয়, পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেদিন পুরসভার পক্ষ থেকে দোকান মালিকদের সতর্ক করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে আগামীতে পুর আইনানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করার হুশিয়ারিও দিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার পুর-প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস।
রায়গঞ্জ শহরের আনাচে কানাচে হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং একাধিক বিরিয়ানির দোকান গজিয়ে উঠছে। ট্রেড লাইসেন্স বিহীন এই সমস্ত দোকানপাট গজিয়ে ওটা নিয়ে ক্ষুব্ধ রায়গঞ্জ পুরকর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রায়গঞ্জ পুরসভার জনস্বাস্থ্য দফতর, লাইসেন্স বিভাগ, উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ফুড সেফটি বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে শহরের হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালায়। সেই ছবি-সহ খবর শুক্রবারই সম্প্রচারিত হয়েছে টাইমস ফোর্টিন বাংলায়। শহরের অধিকাংশ খাবারের দোকান অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার পক্ষ থেকে অধিকাংশ রেস্তোরাঁগুলির হেঁশেল সম্পর্কে দোকান মালিকদের কাছে আপত্তি জানানো হয়। শুক্রবার পুর-প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস আরও জানিয়েছেন, মানুষ উপযুক্ত দাম দিয়ে সুস্বাদু খাবার ভেবে এসব কিনে খান। সেই খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত না হলে পুরসভার তরফে ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুর আইনানুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে খাবারের প্যাকেটে ইঁদুর থাকুক বা নাই থাকুক হেঁশেল অপরিচ্ছন্ন হলে যে পুরসভা ছেড়ে কথা বলবে না তা পুর-প্রশাসকের পদক্ষেপ দেখেই পরিষ্কার।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।