ট্যুইটার কিনতে চাইলেন ইলন মাস্ক

আরও পড়ুন

গত কয়েকদিন আগেই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটার ইনকর্পোরেটেডের বোর্ড অব ডায়রেক্টরসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, তিনি ট্যুইটার সংস্থাটি কিনে নিতে চেয়েছেন। ৪১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ট্যুইটারের ১০০ শতাংশ শেয়ার কিনে নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারের প্রতি শেয়ারের দাম তিনি দিতে চেয়েছেন ৫৪.২০ ডলার অর্থাৎ ৪১২৫.৩০টাকা। 

Elon Musk

বিখ্যাত এই ধনকুবের ট্যুইটার ক্রয় প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, ট্যুইটার বিশ্ব জুড়ে বাকস্বাধীনতার মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা খুবই প্রয়োজনীয়। তাই আমি ট্যুইটারে বিনিয়োগ করেছিলাম।” পরে অবশ্য তাঁর মনে হয় বর্তমানে ট্যুইটার যেভাবে চলছে, সেভাবে চললে বাকস্বাধীনতার মঞ্চ হিসেবে এই সাইটকে ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “ট্যুইটারে বিনিয়োগ করার পরে আমি বুঝলাম, বেসরকারি সংস্থা হিসেবে ট্যুইটারকে পরিবর্তন করতে হবে। নাহলে ওই কোম্পানি সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।”

Twitter

উল্লেখ্য, ট্যুইটারে ইলন মাস্কের সমর্থকের সংখ্যা মোট ৮ কোটি। কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার পর তিনি জানান ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে জানান যে, ট্যুইটার কোম্পানির যে অফিসটি সানফ্রান্সিসকোতে রয়েছে সেটিকে গৃহহীন মানুষদের জন্য আশ্র‍য়স্থল হিসেবে পরিণত করা হোক। ট্যুইটার প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য এডিট বাটন থাকুক বলেও নির্দেশ দিয়েছেন মাস্ক। একটি ট্যুইট করে মাস্ক জানান, “ট্যুইটারের দিন এখন শেষ হয়ে এসেছে। কারণ, সেলিব্রিটিরা এখন খুব কমই ট্যুইট করেন।”

Elon Musk

সূত্রের খবর, বর্তমানে মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৬০০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ তা প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা। অন্যদিকে, এখন ট্যুইটারের বাজারদর প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার ডলারের কিছু বেশি। তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে ট্যুইটার কেনার মতো যথেষ্ট অর্থ ইলন মাস্কের রয়েছে।

ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, “আমার কোনও আস্থা নেই ট্যুইটারের বর্তমান ম্যানেজমেন্টের প্রতি। আমি যদি এই কোম্পানিতে প্রয়োজনীয় অংশগুলো পরিবর্তন না করতে পারি তাহলে কোম্পানির অংশীদার হিসেবে নিজের অবস্থানের কথা বিবেচনা করে দেখব।”

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close