সরকারি মিনি পাম্প সেট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের পথসভা চলাকালীন গ্রামবাসীদের গণধোলাই দেওয়া হয় বলে খবর। এমন ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্ট হয়েছে এলাকাজুড়ে। এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা। পাল্টা তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বরা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে আবার কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল সংগঠন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ল বাজারে। রবিবার কংগ্রেসের মিছিল এবং একটি পথসভা ছিল। সেই পথ সভাতেই উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মহম্মদ রাকিব। মহম্মদ রাকিবের উপস্থিতির কথা খবর পান পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গিলা গ্রামের বাসিন্দা সাইনুল হক এবং তার স্ত্রী সেমো বিবি। তারা গিয়ে তার ওপর চড়াও হন এবং মহম্মদ রাকিবকে গণধোলাই দেন কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে।
অভিযোগ, মহম্মদ রাকিব ৩ বছর আগে সরকারি মিনি পাম্প সেট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। চায়ের দোকানি সাইনুল হক নিজেদের পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করে সেই টাকা দেয় মোহাম্মদ রাকিবকে। কিন্তু তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও তারা পায়নি মিনি পাম্প সেট। টাকা ফেরত চাইতে গেলেও তাদেরকে বারবার ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুতেই তারা দেখা পাচ্ছিলেন না মোহাম্মদ রাকিবের। তাই বড়োল বাজারে কংগ্রেসের পথ সভাতে তার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেই সেখানে ছুটে যান। তাদের সঙ্গে যায় ডাঙ্গীলা গ্রামের অন্যান্য এলাকাবাসীরাও। সেখানেই গণধোলাই দেওয়া হয় মোহাম্মদ রাকিবকে। ধাক্কাধাক্কিতে আহত হন সাইনুল হকও। সমগ্র ঘটনায় নিজের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি মোহাম্মদ রাকিব।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন এই তিনি। ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এদিকে সমগ্র বিষয় নিয়ে কংগ্রেসকে কার্যত তুলাধনা করেছে তৃণমূল। পথসভা চলাকালীন এই ধরনের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বরা।
সাইনুল হকের দাদা সমিমুল হক বলেন, তিন বছর আগে টাকা নিয়েছিল। ফেরতের জন্য বারবার ওদের বাড়িতে গেছে। কিন্তু মোহাম্মদ রাকিব কিছুতেই দেখা করছিল না। তাই বাধ্য হয়ে আজকে ওকে ঘেরাও করেছে।
ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিমান বিহারী বসাক বলেন, এই ঘটনাটা আমি বিস্তারিত জানি না। না জেনে মন্তব্য করব না। তবে কংগ্রেস কর্মীদের মারবে এটা স্বাভাবিক। তৃণমূল কংগ্রেসই কংগ্রেসের উপর আক্রমণ করছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।