স্রেফ আর্থিক ভাটার টানে ঔপন্যাসিক- দেবেশকান্তি চক্রবর্তীর চিকিৎসা মাঝপথে থামিয়ে রায়গঞ্জে ফিরিয়ে আনতে চাইছে পরিবার। ১৪ নভেম্বর শুক্রবার রায়গঞ্জ পুরসভাতে আসন্ন ২৮তম বইমেলার মিটিংয়ে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে গিয়েছিলেন প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক দেবেশকান্তি চক্রবর্তী। সেখানেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন দেবেশবাবু। ওইদিন রাতেই তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১৫ নভেম্বর, শনিবার সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অস্ত্রোপচারের পর পাঠানো হয় তাঁকে ভেন্টিলেশনে। এরপর ধীরে ধীরে শ্রী চক্রবর্তীকে আনা হয় আইসিসিইউ এবং সেমি আইসিসিইউতে। গত ১৫ তারিখ থেকে ২৭ নভেম্বর, রবিবার পর্যন্ত ১৩ দিন অতিক্রান্ত হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন- ২১ দিন না কাটা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যাবে না। যেহেতু দৈনিকই চিকিৎসাব্যয় বাড়ছে, তাই অর্থের জোগানের কথা ভেবে তারা অসুস্থ দেবেশকান্তি চক্রবর্তীকে রায়গঞ্জেই ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত ঔপন্যাসিক দেবেশ কান্তি চক্রবর্তীর চিকিৎসা চলছিল পারিবারিক সঞ্চয়, আত্মীয়-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী, শহুরে মানুষ সর্বোপরি এরাজ্যের মানুষের আর্থিক সহায়তায়। দেবেশবাবুর মেয়ে শ্রাবণী চক্রবর্তী সরকারের গুগলপে একাউন্টে বহু মানুষ গুগলপে, ফোনপে থেকে অর্থ পাঠিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ শ্রাবণীদেবী। তবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বাবার চিকিৎসা কিভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত শ্রীমতি চক্রবর্তী সরকার।
শ্রাবণীদেবী শেষবারের মতো তার বাবার চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে পুনরায় অর্থ সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। যারা এখনো পর্যন্ত সাহায্য করতে পারেননি তাদের কাছেই মূলত তার আকুতি। চিকিৎসকদের পরামর্শমত পরিবারের ধারনা- আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিলিগুড়ির সংশ্লিষ্ট বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটিতে দেবেশবাবুর চিকিৎসা করাতে পারলে উল্লেখযোগ্য ফল আশা করা যেত। তবে তিনি পুনরায় অর্থ সাহায্য পেয়ে ঔপন্যাসিকের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার। দেবেশ কান্তি চক্রবর্তীর মেয়ে শ্রাবণী চক্রবর্তী সরকারের (Google Pay/ Phonepe)গুগলপে/ফোনপে নম্বর – 8016676529, এছাড়াও ব্যাংক (Account No.)অ্যাকাউন্ট নম্বর- SBI a/c 20298646012 IFSC sbin0000162 Shraboni Chakroboty Sarkar, তিনি ঔপন্যাসিক, কবি-সাহিত্যিক, ছড়াকার লেখক প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক, সাংবাদিক, সংগীত শিল্পী এমনকি দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। ২০২০ সালে রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন নাগর নদীবক্ষে নৌকোর উপরে গাওয়া একটি লোকসংগীত ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শুনব তার এক ঝলক –
পাশাপাশি তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার বহু আকুতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েই চলেছে। এখন তিনি কবে নাগাদ সুস্থ হয়ে মানুষের মাঝে ফিরে আসেন তা অবশ্য সময়ই বলবে।
ফোর্টিন ওয়েবডেস্ক, রায়গঞ্জ।