বেঙ্গালুরুতে নার্সিং প্রশিক্ষণের ফাঁদ বিছিয়ে চলছিল প্রতারণা চক্র। এর জেরে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরতের দাবি তুলে সংস্থার কর্নধারকে ঘিরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকেরা। এমনই প্রতারণা চক্রের হদিস মিলল মালদার চাঁচল সদরে পি.ডব্লু.ডি অফিসের বিপরীতে জাতীয় সড়কের ধারে। পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বছর কয়েক ধরে নার্সিং প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে চাঁচল মহকুমার হাজার হাজার যুবক-যুবতী। তাদের মধ্যে অনেক দুস্থ পরিবারের থেকে ছিল। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে চাঁচলের একাধিক যুবক-যুবতি উদ্যোগী হয় নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। তারা চাঁচলের একটি বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শাখায় যোগাযোগ করেন। চাঁচলের পি.ডব্লু.ডি অফিসের বিপরীতে অবস্থিত অক্সফোর্ড ইন্সটিউট অফ কম্পিউটার ইডুকেশন এন্ড টেকনোলজি সেন্টারে যোগাযোগ করেন। প্রায় ২২ জন পড়ুয়া বেঙ্গালুরুতে নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হন। কেউ ৬০ হাজার আবার কেউ ৭০ হাজার টাকা দেন ওই সংস্থার কর্ণধার কাঞ্চন গুপ্তাকে। এরপর ছাত্র-ছাত্রীরা বেঙ্গালুরুতে গেলে সেখানে ওই কলেজ দেখতে পায়নি। সেখানে কোনও এক হোটেলে আবাসিকের নাম করে রাখা হলেও কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। অথচ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার এমন ঘটনার পর ওই কর্ণধারকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে তিনবছরের জন্য নার্সিং এর কোর্স করানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় ওই সংস্থা। ওই পড়ুয়াদের আসল ডকুমেন্টগুলিও তাদের কাছে জমা রেখেছেন বলে অভিযোগ। ওই সংস্থার কর্ণধার কাঞ্চন গুপ্তার দাবি, তিনিও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি কোনও প্রতারণা করেননি। বেঙ্গালুরুর নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্ণধার তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি কিছুই জানেন না এবিষয়ে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।