সরকারি পাঠ্যবই চুরির ঘটনায় অবর বিদ্যালয় দফতরের আরেক অস্থায়ী কর্মী রফিক আলমকে গ্রেফতার করল ইসলামপুর থানার পুলিশ। ধৃত রফিককে শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তার কাছে গুদামের কোনও চাবি থাকত না। এই দাবি করেছেন ধৃত রফিক আলম।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর ইসলামপুর ব্লকের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের গুদাম থেকে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৫ টি সরকারি পাঠ্যবই চুরি যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দী ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দফতরের কর্মী ভীম মন্ডল নামের এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করে। ৩ ডিসেম্বর ধৃত ভীমকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবই স্কুলে স্কুলে পাঠ্যবই বিতরন বিতরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আচমকা বিপুল পরিমাণে সরকারি পাঠ্যবই চুরি যাওয়ায় সরকারি পাঠ্যবই বিতরণ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। ধৃত ভীম মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গুদামের চাবি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দী, দপ্তরের কর্মী রফিক আলম-সহ আরও এক জনের কাছে থাকত। পুলিশ তাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। ভীম মন্ডলকে গ্রেফতারে পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ তদন্তকে এগিয়ে না নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ইসলামপুর কোর্ট কংগ্রেস লিগাল সেলের পক্ষ থেকে ইসলামপুর থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়। পুলিশ শাসকদলের চাপে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে আগামীতে তারা রাস্তায় নেমে তার প্রতিবাদ জানাবে বলে হুঁশিয়ারী দেয়। কংগ্রেসের আন্দোলনের চাপে বৃহস্পতিবার রাতেই ইসলামপুর থানার পুলিশ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের অস্থায়ী কর্মী রফিক আলমকে গ্রেফতার করে। ধৃত রফিককে আদালতে পেশ করা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ধৃত রফিক জানান, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার কাছে গুদামের চাবি রাখা হত না।তিনি নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।