অন্ধ্র-কর্ণাটকেও এবার সংঘর্ষ শুরু

দিল্লির পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকে হনুমান জয়ন্তী মিছিলে সংঘর্ষ শুরু হয়

আরও পড়ুন

হনুমান জয়ন্তীর মিছিল চলাকালীন শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবস্থা নেয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ২০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করা হয়েছে । অন্যদিকে কর্নাটকে পাথর ছোড়ার ঘটনায় ১৫জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশসূত্রের খবর, পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে কর্নাটকের হুবলি জেলায় পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশসূত্রের খবর, এখানে এক ইনস্পেক্টর-সহ ৪ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। হুবলিতে প্রশাসনের তরফে বড় জমায়েতের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হুবলির পুলিশ কমিশনার লভু রাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৪০ জনকে গ্রেফতার করে আটকে বিরুদ্ধে ছটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশসূত্রের খবর।দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীর সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরই শনিবার সন্ধেতে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকেও সংঘর্ষ শুরু হয়। দিল্লিতে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোড়ার খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে জ্বালানো হয় যানবাহনও। আটজন পুলিশকর্মী-সহ একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন এই সংঘর্ষের ফলে। পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ হংসরাজ হংস। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। গত সপ্তাহে রামনবমী উপলক্ষে ধর্মীয় মিছিলের সময় বেশ কয়েকটি রাজ্য যেমন ঝাড়খণ্ড,মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট থেকে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই তালিকায় সঙ্গে বাংলাও ছিল।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাট সরকারের দ্বারা। শিবরাজ সিং চৌহান সরকার অভিযুক্তদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেয় বলে জানা যায়। যদিও এইসব অভিযুক্তদের বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। বিজেপি শাসিত গুজরাটেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close