স্ত্রী-র নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতেই ঘর ছেড়ে আত্মগোপন করেছিলেন, বাড়ি ফিরে বললেন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষক। প্রসঙ্গত, সাড়ে চার বছর আগে পারিবারিক দেখাশোনার মধ্য দিয়েই দাম্পত্য জীবন তৈরি হয় বাজে দক্ষিণাল জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার পাত্র ও মধুপর্ণা পাত্রের। কিন্তু তার প্রতি স্ত্রী মধূপর্নার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারেই ঘর ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডাইরি তুলে নিয়ে এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা ওই শিক্ষক। সূত্রের খবর, গত ১ ডিসেম্বর একমাত্র সন্তানের জন্মদিনের পর গত ২ ডিসেম্বর রাতে বাজার করতে বেরিয়ে আর বীরনগরের ভাড়া বাড়িতে ফেরেননি সঞ্জয়বাবু। এরপর হন্যে হয়ে সর্বত্র খুঁজেও না পেয়ে অবশেষে রায়গঞ্জ থানায় নিখোঁজের এজাহার করেন মধূপর্ণাদেবী। তখন পারিবারিক দাম্পত্য কলহের কথা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সঞ্জয়বাবু যে ঘরে ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে যাবেন, তা বুঝতে পারেননি তিনি।
এদিকে একমাত্র সন্তান নিখোঁজ থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয় পাত্রের বয়স্ক বাবা সুবল চন্দ্র পাত্র। নিখোঁজ থাকাকালীন সংবাদ মাধ্যম যেভাবে সহয়তা করেছে, তার প্রশংসা করেন সুবলবাবু ও নিকটাত্মীয় মানস রায়।
এদিন সঞ্জয়বাবুর স্ত্রী মধূপর্ণাদেবী বর্ধমানের শ্বশুর বাড়িতে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ আধিকারিকেরা স্বামী স্ত্রী-কে জেলা পরিবার কল্যান দফতরের কাউন্সিলরের পরামর্শ মেনে চলার পথ বাতলে দিয়েছেন বলে জানালেন সঞ্জয়বাবু।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।