বছরের প্রথম দিনে পিকনিকে মেতে উঠছে আম বাঙালি। রায়গঞ্জ কুলিক নদীর ধারে বনভজনে মেতে উঠেছে কচিকাচারা। ২০২৩ সালে প্রথম দিন। বাঙালী এই দিনটি ঘরে বসে থাকতে রাজী নন। তাই পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন সকলে। রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখিদের নিরাপত্তার স্বার্থে বনদফতর বনভোজনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মাইকের আওয়াজে পরিযায়ী পাখিরা সমস্যার সন্মুখীন যাতে না হয় সেই কারনেই বনদফতর কুলিক পক্ষীনিবাসের ভেতরে বনভোজন করতে দিচ্ছে না। বনদফতর বনভোজনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তাতে কি আম বাঙালীকে ঘরে আটকে রাখতে পারবে। একদমনই না। বনভোজন জায়গায় নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন। রায়গঞ্জ কুলিক নদীর ধারে রায়গঞ্জ-সহ আশপাশের বাসিন্দারা বনভোজন জায়গা বেছে নিয়েছেন। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে এই বনভোজন। খাওয়া দাওয়া-সহ মাইক বাজিয়ে চলছে দেদার নাঁচ।
রায়গঞ্জের দেবীনগরের বাসিন্দা রিম্পা ঘোষ জানিয়েছেন, সংসার করে ৩৬৫ দিন বাড়িতেই থাকতে হয়। বাড়িতে যেসমস্ত খাওয়া দাওয়া হয় সেগুলিই এখানে হলেও এখানকার খাওয়া দাওয়ার আনন্দ আলাদা। পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে হৈই হুল্লোর করে আনন্দ করার মজাই আলাদা।বছরের প্রথম দিনের তাদের এই আনন্দ সারা বছর যেনও এমনই থাকে সেই আশায় তাদের এই বনভোজন।
রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পালের সঙ্গে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।