মালদা ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা প্রায় সাড়ে 350 বছরের ঐতিহ্যবাহী এই জোহরা তলা মন্দির। সকল ভক্তদের কাছে মা জহরা কালী নামেই পরিচিত। বৈশাখ মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার মন্দিরে অসংখ্য ভক্তরা এসেছেন পুজো দিতে। সকাল হতেই একদিকে শুরু হয়েছে ভোগ প্রসাদের লাইন , অন্যদিকে অঞ্জলির লাইন এবং সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য ভক্তরা । এখানে দেবীর মুখোশ পুজো হয়। দেবীর মুখোশ বিকটবর্ণা, রক্তবর্ণা ও লোলোজিহ্বা যুক্ত। মন্দিরের কল্যান তিওয়ারি পূজারী জানালেন প্রায় সাড়ে 350 বছর আগে তাদেরই পূর্বপুরুষ ছলু তেওয়ারি স্বপ্নাদেশে দেবী চণ্ডী তথা মা জহরা দর্শন পান। সেই সময় ছলূবাবুই জোহরা মায়ের বেদীতে পুজো শুরু করেন। তারপর শতাধিক বছর পর সাধক হীরানাথ তেওয়ারি মায়ের মূর্তি বেদীর উপরে তিনটে মুখ এর পুজো শুরু করেন । তারপর থেকেই সারাবছরই পুজো হয় ।তবে বৈশাখ মাসে ঘটা করে ধুমধাম করে মায়ের পুজো শনিবার ও মঙ্গলবার হয়ে থাকে। আমাদের পূর্বপুরুষ ছলু তিওয়ারি এই গভীর অরণ্যে ধ্যান করার সময় মায়ের রূপ দর্শন করেন তৎক্ষণাৎ মায়ের কথা মত এখানে পুজো শুরু হয়। প্রসঙ্গত পুরনো নিয়ম-নীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে এখানে। বৈশাখ মাস ধরে মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে বহু দূর -দূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শন করতে আসেন। এমনকি শুধু তাই না জোহরা মা সকলের প্রার্থনা শোনেন।
অন্যদিকে কলকাতার সল্টলেকের বাসিন্দা অভিজিৎ চ্যাটার্জি তিনি জানান- ‘মায়ের নাম বহু শুনেছি ।’আমাদের বাড়িতে জোহরা মায়ের ফটো দেখে মাকে পুজো করতে হতো ।এইবারই প্রথম আমরা এ মালদায় এসে জোহরা মায়ের রূপ দর্শন করলাম এবং মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম সমগ্র জাতির মঙ্গল হোক ‘। ইংরেজবাজার শহরের ঝালঝলিয়া এলাকার বাসিন্দা সুলেখা সরকার জানান- ‘করোনার সময়কালে টানা দু’বছর মায়ের দর্শন করতে পারিনি তবে এবার মায়ের পুজো দিতে মায়ের রূপ দর্শন পেতে এসেছি ।সকলের মঙ্গল হোক এটাই মায়ের কাছে প্রার্থনা করব।’
https://times14.com/west-bengal/the-deceased-was-krishna-kumar-kalyani-1869/