অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের ঘর দখল করে রাখা হয়েছে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রে। ঘরে তালাও মারা, অথচ যেই কাজের জন্য ওই ঘর, সেই কাজ হচ্ছে মাঠে ময়দানে। শুক্রবার বিকেলে কাঁকড়শিং এর দেবশর্মা পাড়ার ৩ নম্বর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এই ছবি দেখে রীতিমতন চক্ষু চড়কগাছ হেমতাবাদের জয়েন্ট বিডিও-র। তড়িঘড়ি জিনিসপত্র সরানোর নির্দেশ দিলেন তিনি।ঘটনাটি ঘটেছে, হেমতাবাদ ব্লকের হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকড়শিং এর দেবশর্মা পাড়া এলাকায়।
সূত্রের খবর, বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন রাজ্যের বহু চর্চিত একটি বিষয়। যেখানে বার বার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মিড ডে মিল ব্যবস্থা নিয়ে। এবারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো নিয়ে উঠে এল প্রশ্ন। স্বদেশ দেবশর্মা নামের এক ব্যক্তি একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘর দখল করে সেখানে জিনিসপত্র মজুত রেখেছিলেন। ঘরে তালা মেরে চলে যান তিনি। এদিকে ঘর বন্ধ থাকায় বাইরের উঠোনোর মধ্যে চলছে পঠনপাঠন। একটি ভগ্নপ্রায় ঝুপড়ির মধ্যে চালে ডালে চলছে রান্না। শুক্রবার সেখানে পরিদর্শনে যান হেমতাবাদের জয়েন্ট বিডিও রৌনক রায়। তিনি এ বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার ভৎসর্নার মুখে পরতে হয় কেন্দ্রের কর্মীকে।
ওই কেন্দ্রের কর্মী লিলি চক্রবর্তী সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি সরাসরি অভিযোগ জানান নি কেন? এই প্রশ্ন তুলতেই পূর্বতন সুপারভাইজারদের কাঁধে দায় চাপালেন তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন জয়েন্ট বিডিও রৌনক রায়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে কোথাও না হয় তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিডিপিও কে।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থেকে বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।