দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত দেশের সাড়ে ৭ কোটি চাষীকে সুখবর শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী বনসাকন্ঠ জেলার দিয়াদরে এসে একটি ডেয়ারি ফার্ম উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি বলেন, “বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুধ উৎপাদন হয় আমাদের দেশ ভারতে। ভারতে উৎপাদিত দুধের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে আট লাখ কোটি টাকা।” প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করে জানান, “ভারতে গম এবং চালের উৎপাদনের যা বাজার মূল্য তার চেয়ে অনেক বেশি টার্ন ওভার হয় দুধে। এই বিপুল পরিমাণ দুধ উৎপাদনের সুবিধা ভোগ করেন দেশের অগণিত ছোট ছোট ব্যবসায়ী এবং চাষীরা। যা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।”
বনসাকন্ঠে এদিন ডেয়ারি ফার্ম উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে, “আজ বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশ হল ভারত। ভারতের কোটি কোটি কৃষকের জীবন জীবিকা নির্ভর করে এই দুধের উপর এবং ব্যবসায়ীরা নির্ভর করেন দুগ্ধজাত সামগ্রীর উপর। বহু বড় বড় অর্থনীতিবিদ রয়েছেন যারা এদিকে নজরই দেন না। গ্রামের বিকেন্দ্রীভূত অর্থনীতি ব্যবস্থার একটি বড় উদাহরণ হল দুধ উৎপাদন। যেখানে গম এবং চালের টার্নওভার ৮.৫ লাখ কোটি টাকার ধারেকাছেও নয়।”
প্রসঙ্গত, দুধ ভারতের এক অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। আমাদের দেশে এমন কোনও রাজ্য নেই যারা দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন করে না, ব্যবহার করে না বা কেনা বেচা করে না। সার্বিক ভাবেই সারা দেশের জন্য দুধ একান্ত প্রয়োজনীয়। দুধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রত্যেক চাষী এবং ছোট বড় সকল ব্যাবসায়ী ভারতের এই সাফল্যের সঙ্গে জড়িত। উল্লেখ্য, দেশের এই সাফল্য অর্থাৎ দুধ উৎপাদনের পরিমাণ যাতে সঠিক ভাবে বজায় রাখতে হয় তার জন্য সমস্ত দুগ্ধচাষী এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি, সমস্ত দুগ্ধচাষী এবং ব্যবসায়ীদের সার্বিক কল্যাণ যাতে হয় তার দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, বনসাকন্ঠে নতুন ডেয়ারি কমপ্লেক্স এবং বনস ডেয়ারির আলু প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের লক্ষ্য হল সেখানকার স্থানীয় কৃষকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং সেই এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার বিকেন্দ্রীভূত অর্থনীতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সাধারণত যে অর্থনীতির কারণে দেশের একেবারে প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া কৃষকরা ভালোভাবে লাভবান হতে পারে, সেটাকেই আমরা এবার বিকেন্দ্রীভূত অর্থনীতি হিসেবে দেখতে পারি। এই অর্থনীতির কারণে দেশের বড় অংশের ছোট চাষীরা উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।”