কল থেকে জল পড়ে না যেটুকু মিলছে, তা-ও ঘোলা। রমজান মাস আসছে। একমাস ধরে রোজা পালন করবেন চুঁচুড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামবাড়া সংলগ্ন ইমামবাজার এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু তার আগে কি জলসঙ্কট মিটবে! দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাঁরা। জলসঙ্কটের কথা মেনে নিয়েছেন পুর পারিষদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, নতুন পাইপ লাইন সংযোগের কাজ চলছে। তাই ঘোলা জল পড়ছে। জলসঙ্কট দূর করতে ওখানে একটি নতুন পাম্প বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, রমজান মাসের আগেই স্থায়ী সমাধান হবে।
সূত্রের খবর, ইমামবাজার এলাকায় শতাধিক মুসলিম পরিবারের বাস। বেশ কিছু হিন্দু পরিবারও রয়েছে। সকলেই জল-সমস্যায় জর্জরিত। ওই সমস্যা নতুন নয়। এলাকাবাসী জানান, গরম পড়লেই এখানে কল থেকে সে ভাবে জল পড়ে না। কিন্তু গত বছর থেকে সারা বছরই সমস্যাটা চলছে। কল থেকে সরু হয়ে জল পড়ে। দিন চারেক ধরে জল পড়ার পরিমাণ সামান্য বাড়লেও তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারণ, সেই জলে রয়েছে কাদা-মাটির মিশ্রণ। ফলে, তা খাওয়ার অযোগ্য তো বটেই, স্নান কিংবা কাপড় কাচাও দায়।
প্রসঙ্গত, মৌপ্রিয়া দাস নামে এক তরুণীর খেদ, বছরভর কল থেকে এত সরু হয়ে জল পড়ে যে একটা ছোট বালতি ভরতেও এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পুরসভা এ দিকে চেয়েও দেখে না। পুরসভাকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা বাধ্য হয়ে দূর থেকে জল বয়ে এনে ঘরের কাজ সারছেন। খাওয়ার জল কিনে খেতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ফোর্টিন টাইমলাইন, হুগলী।