তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় ইসলামপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুক্রবার কালীঘাটে সভানেত্রী রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের দিয়ে বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠকে দলের তরফ থেকে কোনও পরিচিত নেতা তাকে ফোন করেননি। একজন অপরিচিত ব্যাক্তি তাঁকে ফোন করে শুক্রবারের বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি সেই ফোন ধরেননি। তার ছেলে ইমদাদ সেই ফোন ধরে তাঁর মতামত জানিয়ে দিয়েছিলেন। করিম চৌধুরীর আক্ষেপ- দীর্ঘ পঞ্চান্ন বছর বিধায়ক থাকার পর সুব্রত বক্সীর কাছে তাকে শুনতে হয়-” ব্যক্তি বড় নয়, দল বড়”। তিনি এও জানিয়েছেন, ইসলামপুরের তার বিরোধী লোকদের দলের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে।তাদের পরিবর্তনের প্রস্তাব দিলে সুব্রত বক্সী তাঁকে রিজাইন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। করিম চোধুরীর অভিযোগ, দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর যাবত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে কোন রকম কুশল বিনিময় করেননি। তাঁর ঘোষিত বিদ্রোহী বিধায়ক হিসেবেই তিনি থাকতে চান।
উল্লেখ্য, ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন দক্ষিণ মাটিকুন্ডা গ্রামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাড়িতে ঢুকে গুলি ও বোমা মেরে খুনের ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।পুলিশ প্রধানকে গ্রেফতার করলেও ব্লক সভাপতি এখনও অধরাই থেকে গিয়েছেন। ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে গ্রেফতার এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ইসলামপুরে মুখে কালো কাপড় বেধে মৌন মিছিল করেছিলেন। এই ঘটনায় দলের কাছে ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের দাবি করেছিলেন বিধায়ক করিম চৌধুরী। দলের নেতারা বিধায়কের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। দলের এই সিদ্ধান্ত জানার পরই দলের বিদ্রোহী বিধায়ক হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।