Uttar Dinajpur : কম্পিউটারের যুগে লাল খাতার বিক্রি কম হওয়ায় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

আরও পড়ুন

বর্তমানে কম্পিউটারের যুগে নববর্ষে (Bengali New Year) নতুন খাতার ব্যবহার প্রায় বন্ধ হতেই বসেছে। নববর্ষের খাতা বিক্রি কম হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন রায়গঞ্জের খাতা বিক্রেতারা। এভাবে খাতা বিক্রি পরিমাণ কমে গেলে আগামীতে নববর্ষে লাল খাতা আনাই বন্ধ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন খাতা বিক্রেতারা নকুল সাহা।

একসময় বাংলা নববর্ষের দিন ছোট-বড় দোকানে লক্ষী গনেশের সামনে লাল খাতা রেখে পুজো করার চল ছিল। দোকানে খতিয়ানের লাল খাতা রাখা শুভ হিসেবে প্রতিটি ছোট-বড় ব্যবসায়ী এই লাল খাতা কিনতেনই। তাই নববর্ষের আগে কাগজ কলমের দোকান প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যেত। তখন এই কাগজ কলম ব্যবসায়ীরাই তাদের নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতেন। কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া ঘোষনার পর সব চাইতে বেশি খতির মুখে পড়েছেন কাগজ কলম ব্যবসায়ীরাই।

আজ আর আগের মতো ব্যবসায়ীদের লাল খাতার কেনার ঝোঁক নেই। আগের চাইতে এখন খাতার দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ লাল খাতা বিক্রির জন্য আনছেন তার মাত্র ১০ শতাংশই বিক্রি হচ্ছে। বাকি ৯০ শতাংশ খাতা দোকানের গুদামেই পড়ে থাকছে। খাতা বিক্রি না হওয়ায় কাগজ কলম ব্যবসায়ী চরম সমস্যায় পড়েছেন। আগামীতে এই লাল খাতা দোকানে আনাই বন্ধ করে দেবার কথা ভাবছেন ব্যবসায়ীরা।

কাগজ-কলম ব্যবসায়ী নকুল সাহার দাবি, তাদের লাল খাতা বিক্রি প্রায় বন্ধের মুখে হয়ে দাঁড়িয়েছে।ব্যবসায়ীদের জি.এস.টি দেওয়ার কারনে ব্যবসায়ীদের একটি করে কম্পিউটার কিনতে হয়েছে। খাতার বদলে তাদের সমস্তরকম হিসেব কম্পিউটারে তুলতে হয়েছে।

রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close