প্রাচীনকালে একঘরে হওয়ার চিত্র আকছার দেখা যেত। এখন একুশ শতকে দাঁড়িয়ে মানুষ এমন খবর প্রায়শই শুনতে পারছেন মানুষ। কদিন আগে বিজেপি থেকে “ঘর ওয়াপসি ” হওয়ায় তিন মহিলাকে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন এলাকায় দন্ডি কাটানো হয়। যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এবার একটি গ্রামকেই বয়কট করে ফেলল শাসকদল বলে অভিযোগ । এমন ঘটনা ঘটেছে মালদার হরিশচন্দ্রপুরে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল।
সূত্রের খবর, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল। বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলের জন্য যখন চলছে চারিদিকে হাহাকার , ঠিক সেই সময়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সাবমারসিবল পাম্প না বসিয়ে পাম্প বসেছে তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে।জলের দাবিতে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকাবাসী। বালতি, কলসি নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারাও। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োল বাজারের ঘটনা।
ওই এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপি দলের। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত শাসকদল তৃণমূলের দখলে। এলাকায় নেই পিএইচই । এমনকি বসানো হয়নি কোনও গভীর নলকূপ । ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও কাজ দিচ্ছে না এই এলাকায়। কিছুদিন আগে একটি সাবমারসিবল পাম্প বসানো হলেও সেটি বসানো হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূল নেত্রী সুজাতা সাহার বাড়ির সামনে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার শাস্তি পেতে হচ্ছে তাদের। ইতিমধ্যেই বৈশাখে তীব্র দাবদাহের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সামনে পড়ে রয়েছে বিস্তর সুখা মরশুম। এলাকায় নলকূপের জলস্তর নেমে গেছে। পানীয় জল আনার জন্য যেতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী গ্রামে। এমতাবস্থায় বিক্ষোভ থেকে এলাকাবাসীর একটাই দাবি- দ্রুত জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
ওই এলাকায় জল কষ্টের কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। কিন্তু বিজেপি করার জন্য কাজ হয়নি একথা মানতে নারাজ তিনি। তার দাবি – এটা বিজেপির মনগড়া অভিযোগ। ওই এলাকায় পিএইচির জন্য পিএইচই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন।
ফোর্টিন টাইমলাইন , মালদা।