“সমস্ত কিছু সঠিকভাবে চললে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত ৩০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে যেতে পারে। তখন ভারতে এমন কোনও জাতি থাকবে না যারা না খেয়ে ঘুমোতে যাবে। সব ধরনের দারিদ্র্য নির্মূল হবে ভারত থেকে।” এমনটাই জানালেন শিল্পপতি গৌতম আদানি, যার গোষ্ঠী বিমানবন্দর থেকে বন্দর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ব্যবসা পরিচালনা করে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা বিতরণ করে।
সূত্রের খবর, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়তে চলেছে এই আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন ওরফে APSEZ. শুক্রবার জানা গিয়েছে, আদানি গোষ্ঠী ওশান স্পার্কল লিমিটেড (Ocean Sparkle Limited) নামক এক মেরিন সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিকে কিনে নিতে চাইছে। ওই সংস্থার বাজার দর প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা। তাদের কাজ হল, কোনও বন্দর থেকে জাহাজকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসা, এবং বন্দর থেকে জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পৌঁছে দেওয়া, আর ড্রেজিং করা।
জানা গেছে, দেশের এই সবচেয়ে বড় মেরিন সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থাটি মোট ৯৪ টি জলযানের মালিক। এছাড়াও, আরও অন্যান্য সংস্থা থেকে মোট ১৩ টি জলযান ভাড়া নিয়েছে এই ওশান স্পার্কল লিমিটেড। ১৯৯৫ সালের ২৬ জুলাই এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে কয়েকজন মেরিন টেকনিশিয়ান। তার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন পি জয়রাজ কুমার। বলা হচ্ছে, এই সংস্থাটি কিনে নিলে সামগ্রিক ভাবে আদানি হারবার সার্ভিসের ব্যবসার হার আরও দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সংস্থার সিইও এবং ডিরেক্টর করণ আদানি এমনটাই মনে করছেন।
করণ আদানি বলেন, ” এই ওএসএল সংস্থাটি কেনার ফলে ভারতের মেরিন সার্ভিস মার্কেটের এক বড় অংশ দখল করবে APSEZ. পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও ব্যবসা শুরু করবে আমাদের সংস্থা। আগা
মী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বৃহত্তম পোর্ট অপারেটর হয়ে উঠবে আদানি পোর্টস।” উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও এই ওশান স্পার্কল লিমিটেডের গতিবিধি রয়েছে শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কাতার, ইয়েমেন এবং আফ্রিকাতে। গত দশ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১৮০০ জন কর্মী নিয়োগ করেছে এই সংস্থা।