মণিপুরে অশান্তির জেরে বাংলার বাজারে উর্দ্ধমুখী হচ্ছে আদার দাম। যে আদা বর্তমান সময়ে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সেই আদাই খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকা কেজি দরে। রাতারাতি এই আদার দাম বৃদ্ধিতে হেঁসেলে জ্বলছে আগুন। প্রভাব পড়েছে রফতানি বাজারেও।
সূত্রের খবর, বছরে প্রায়শই আলু, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলেও আদার দাম তেমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায় না।মালদার আদা বিক্রেতা নীরেন সাহা বলেন, বাজারে আদার জোগান কম। নতুন উৎপাদিত আদা এখনও বাজারে আসেনি। তাই দাম দ্বিগুন হয়েছে।
মালদার ব্যবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, আদার দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মূলতঃ এই জেলায় আদার উৎপাদন তেমন হয় না। ভিন রাজ্য অর্থাৎ উত্তর পূর্ব ভারত বা দক্ষিণ ভারত থেকে আনতে হয়। দক্ষিণ ভারতের আদা তিন মাস ধরে আসছে না। এছাড়া মণিপুরের অশান্তির ফলে আদার জোগান কমেছে।
মালদার রপ্তানিখারক উজ্জ্বল সাহাও বলেন,আদা মূলতঃ উত্তর পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ ভারত থেকে এই রাজ্যে আসে।উত্তর পূর্ব ভারতে মনিপুরের অশান্তির কারণে পণ্যবাহী কোন গাড়ি এই রাজ্যে আসছে না। তাই বাজারে জোগান কম। দাম বেড়েছে আদার। তিনি আরো বলেন স্থানীয় ভাবে আদা চাষ করা হয়। আদার উৎপাদন জেলায় বাড়ানোর জন্য আমবাগানের তলায় বিকল্প চাষ হিসাবে এই আদা উৎপাদন করার পরিকল্পনা করেছে।
জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন বাগিচা দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানান, মাত্র ২৬২ হেক্টর জমিতে আদার চাষ হয়। প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয় আদা এই জেলাতে। এখনই আদা চাষ করার এটি উপযুক্ত সময়। আম গাছের ছায়াতে এই আদা চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, মালদা।