বাড়ি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মহানন্দা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল এক কিশোর। শিলিগুড়ি থেকে ডুবুরি এনে নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দার্জিলিং জেলার বিধাননগর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা ঋজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থানার রামকৃষ্ণপল্লি এলাকার কিশোর রূপম রায় পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। বিধাননগর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে মহানন্দা সেতুতে চলে আসে। সেখান থেকে দাদা এবং বন্ধুদের ফোন করে মায়ের খোঁজখবর রাখার অনুরোধ করে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে দেয়। সেতুর উপর মোবাইল ফোন এবং জুতো রেখে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। ভাই এর আত্মহত্যা করার কথা জানতে দ্রুত পরিবারের সদস্য এবং রূপমের বন্ধুরা মহানন্দা সেতুতে পৌঁছে যায়। সেতুর উপর ভাইয়ের মোবাইল ফোন এবং জুতো উদ্ধার হলেও ভাইকে উদ্ধার করতে পারেনি। রাতভোর ভাইকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করলেও তাকে পাওয়া যায় নি। সকালে শিলিগুড়ি বির্পযয় মোকাবিলা দলকে খবর দেওয়া হয়। বির্পযয় মোকাবিলা দল ডুবুরি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয়। প্রায় তিন ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে রূপমের নিথর দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিধাননগর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। বিধাননগর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা ঋজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া ব্লক থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।