আইপিএল : টানা চারটি ম্যাচ-এ পরাজয় কেকেআর-এর

রাসেলের দাপটেও গুজরাতের সঙ্গে ম্যাচটি জিততে পারলো না কলকাতা নাইট রাইডার্স

আরও পড়ুন

কলকাতার শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান-এর । কার্যত কলকাতা নাইট রাইডার্স(KKR) জেতার জন্যই আন্দ্রে রাসেলের মুখ চেয়ে বসেছিল। আউট হওয়ার আগের বলেই তিনি একটি ছক্কা মেরেছিলেন। তার পরের বলেই হয় রাসেলসহ ম্যাচ-এর ছন্দপতন। আগেও রাসেলের একটি ক্যাচ মুঠোবন্দি হলেও আম্পায়ার সেটি “নো-বল” বলে ঘোষণা করেন। দুরন্ত দক্ষতায় রাসেলের ক্যাচটি লুফে নেন লকি ফার্গুসন। এখানেই নাইট-রা তাদের জয়ের আশা হারিয়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত গুজরাত টাইটান্সের কাছে ৮ রানে হারতে হয়েছে শ্রেয়স আয়ারদের। টানা চারটি ম্যাচে পরাজয়ের কারনে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে নাইট রাইডার্সদের প্লে-অফের সম্ভাবনা। আটটি ম্যাচে কলকাতার ঝুলিতে ৬ পয়েন্ট সংগৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে, শনিবারের জয় হার্দিক পান্ডিয়ার দল অর্থাৎ গুজরাত টাইটান্স কে ফের পৌঁছে দিল তালিকার শীর্ষে ।

কলকাতার সামনে যে একটা বিশাল বড় রানের টার্গেট ছিল তা ঠিক নয়। ১৫৭ রানের লক্ষ্য ছিল তাদের। অনুমান করা হচ্ছে, কলকাতাকে অতিরিক্ত রাসেল নির্ভরতার জন্যেই হয়তো হারতে হ’ল । ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানে থেমে যাওয়াতেই তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল। আইপিএলের পঞ্চদশ সংস্করণে এত কম রানের পুঁজি নিয়ে আর কোনও দল জেতেনি। এদিন নতুন ওপেনার জুটি স্যাম বিলিংস ও সুনীল নাড়িন ৪ এবং ৫ রান করে আউট হয়ে যান। মহম্মদ সামির বলেই আউট হতে হয় দু’জনকেই। কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ১২ এবং নীতীশ রানাও ২ রান করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পাওয়ার প্লে’র(Power Play) মধ্যে ৩৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আরও ৪৫ রানে পঞ্চম উইকেটে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন রিংকু সিং (৩৫) ও বেঙ্কটেশ আয়ার (১৭)। কিন্তু, সেই সময়ই ম্যাচের সেরা বোলার রশিদ খান তার মোক্ষম চাল চালান । তার পরও জয়ের স্বপ্ন দেখছিল কেকেআর। ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ঝড় তুলেছিলেন রাসেল। একটি ম্যাচে পরিত্রাতা হলেও সব ম্যাচেই তো আর তাই হয় না।

মুম্বইয়ে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। শুভমান গিল ৭ রান করে শিবিরে যাওয়ার পর তিন নম্বরে নেমে হার্দিক ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ঋদ্ধিমান সাহা (২৫), ডেভিড মিলার (২৭) ও রাহুল টেওয়াটিয়া (১৭) ছাড়া আর কেউই সেইরকম দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। নয় উইকেট হারিয়ে গুজরাত ১৫৬ রান করে। শেষ ওভারে চার উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। যা হার্দিকদের পক্ষে খুব একটা সুবিধে হয়নি। হার্দিকের বড় রান করার সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন রাসেল। তিন উইকেট নিয়ে টিম সাউদিও কেকেআর-কে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি এখনও নির্বিষ বোলার নন। এদিনের পরাজয় নাইটদের টানা চার নম্বর পরাজয় ছিল।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close