পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সাম্প্রতিককালে এরাজ্যে তিনটি বড় বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় শনিবার এগরাতে গিয়েছেন ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে। মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যাননি। মালদার মানিকচকের জনসভা থেকে সোজা – সাপটা ভাষায় একথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ বুকে গুলি করে খুন করছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক এখন ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীর ভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে কেন্দ্র ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে। তৃণমূলের নেতারা বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতেই। এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেনও এই চোরদের ভোট দেবেন। যারা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে তাঁদেরকে কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশে যেতে হবে। বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্য সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্র – ছাত্রীর সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। ডিয়ার লটারী কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারিতে পরিণত করা হয়েছে।
অভিষেককে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসি-র ভয় দেখানো হচ্ছে। কুড়মীদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা বন্দোপাধ্যায়। রামনবমীর দিন গোলমাল হয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জন্যে। এরাজ্যে কোনও চাকরি নেই। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এরাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। সিপিএমের আমলে ওরা চাকরি বিক্রি করেছিল। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আমি ‘প্রাক্তন’ করব।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,এগারায় ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নোট বদলের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর লাইনে দাঁড়ানো অভিষেকের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন,’আবকি-বার ৪০০পার’। মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, এত চুরি করেছেন যে হিসেব দিতে পারবেন না তাই যান নি। তিনি ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ -সহ বিজেপি দলের জেলা নেতৃত্ব।
ফোর্টিন টাইমলাইন , মালদা।