সৎমা-কে খুন করে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল সৎ মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির জমিদারপাড়া এলাকায়। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের সৎ-মেয়েকে আটক করেছে।
সূত্রের খবর, নিহতের নাম লক্ষ্মী মাঝি। তার সৎ-মেয়ের নাম পিঙ্কি মাঝি। সে পরিচারিকার কাজ করে। নিহত হওয়া লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এলাকায় গত কয়েকদিন যাবৎ লক্ষ্মীদেবীকে দেখতে পাচ্ছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে দেখতে না পাওয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধে তাদের মনে। পিঙ্কির গতিবিধি দেখেও সন্দেহ হয় তাদের। অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে তাদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকাবাসী। প্রতিবেশীদের সন্দেহ তীব্রতর হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা ওই মহিলার সৎ-মেয়ে পিঙ্কির কাছ থেকে মায়ের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়। কথায় মেলে হাজারও অসংগতি। দুর্গন্ধের সূত্র ধরে মাটি খোঁড়া হয়। তাতেই সামনে আসে তার সৎমায়ের মৃতদেহ।
মেয়ে পিঙ্কির দাবি, তার সৎ-মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে। কোনও উপায় না পেয়ে মাটি খুঁড়ে নিজেই কবর দিয়েছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত সৎ মেয়ে পিঙ্কি মাঝিকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় মানুষের অনুমান- পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদেদের পর খুনের ঘটনা কবুল করলে রাতেই তাকে গ্রেফতার করতে পারে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
ফোর্টিন টাইমলাইন, জলপাইগুড়ি।