করণদিঘির অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্র ছাত্রীদের রাজ্য সরকারের দেওয়া স্কলারশিপের টাকা আত্মসাতের মূল চক্রে মাহাতাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করল করণদিঘি থানার পুলিশ। তার করণদিঘির সাবধান এলাকার বাড়ি থেকেই পুলিশ মাহাতাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর মাহাতাবুদ্দিন তার নিজের নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একাউন্ট বানিয়ে এসসি, এসটি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের কাস্ট সার্টিফিকেট ব্যাবহার করে তাদের স্কলারশিপের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। তিনি এই কাজে একাই নন বলেও অভিযোগ ছিল বিস্তর। এই কাজে জড়িয়ে আছে তার তিন ভাই হায়াত আলী, হুমাউন কবির, সারজাহান আলী সহ একাধিক ব্যাক্তিরা। এই ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই করণদিঘির বিডিও ও করণদিঘি থানার আইসিকে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ।
ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। তার পরেই জেলা প্রশাসন রবিবার বিকেলে পুলিশের কাছে মাহাতাবুদ্দিন সহ একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারপরেই করণদিঘি থানার পুলিশ মাহাতাবুদ্দিনকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ 420/406/468/471/120B IPC. ধারায় মামলা দায়ের করে তাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত চেয়ে ইসলামপুর আদালতে পাঠায়। অন্যদিকে, মাহাতাবুদ্দিন নিজেকে ব্যবসায়ী বলে দাবি করে জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। যদিও অভিযোগকারী রুস্তম আলীর দাবি, মাহাতাবুদ্দিনই স্কলারশিপ ঘোটালা কান্ডের মূল অভিযুক্ত।
পুলিশের কাছে তাদের আবেদন, এই কান্ডে যুক্ত বাকিদেরও যেনও গ্রেফতার করা হয়। শুধু তাই নয়, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা।