বহিরাগত নয়, ভূমিপুত্র চাই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরে। লোকসভা কেন্দ্রে বহিরাগত প্রার্থী নয়, একেবারে ভূমিপুত্র কিংবা ভূমিপুত্রী চাই বলে দাবি সম্বলিত পোস্টার পড়েছে রায়গঞ্জ শহরের পোস্টারে। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছেম সেবিষয়ে সন্ধিহান সকলেই। এবিষয়ে রায়গঞ্জের সাধারণ নাগরিক দীপেশ পাল জানান- প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর রায়গঞ্জ কোনও স্থানীয় সাংসদ পায়নি। যার ফলে উন্নয়ণের নিরিখে পিছিয়ে পড়ছে রায়গঞ্জ। তাই ভূমিপুত্র কেউ সাংসদ হলেই সর্বাঙ্গীন উন্ননয়ন সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিজেপি সমর্থক তথা বিজেপি-র প্রাক্তন সক্রিয় কর্মী বলরাম চক্রবর্তী এই পোস্টারকে সমর্থন জানিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিগত তিনবার রায়গঞ্জ বহিরাগত সাংসদ পেয়েছে। তাই এবার স্থানীয় সাংসদ হলে জনসাধারণের সুবিধা হবে। এক্ষেত্রে তিনি আরও জানান- স্থানীয় কেউ বিজেপি ছাড়া অন্য দলের হলেও কাজের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।
অন্যদিকে, সিপিআইএম-এর রায়গঞ্জ শহর কমিটির সম্পাদক তীর্থ দাস এবিষয়ে এক হাত নেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে নিয়ে। তিনি বলেন, দেবশ্রী চৌধুরী কতটা কাজের যে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার পুর-প্রশাসক তথা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, মানুষ পরিষেবা না পেলে এধরনের পোস্টার পড়ে। ফলে বিষয়টা খুব পরিষ্কার যে সাংসদের কাজে খুশি নন রায়গঞ্জবাসী।
বিজেপি-র রায়গঞ্জ শহর মণ্ডল-এর সভাপতি অভিজিৎ যোশী বলেন, স্থানীয় সাংসদ হলে বাড়তি সুবিধা সকলেই পাবে এটা অনস্বীকার্য তবে দেবশ্রী চৌধুরী যেভাবে কাজ করেছেন সেটাও প্রশংসনীয়। একজন সকলের কাছে প্রিয় হতে পারেন না। তাই হয়তো এতো কাজের পরও এই ধরনের পোস্টার পড়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
যদিও বিষয়টি নিয়ে নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে। তবে এই পোস্টারিং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না তা অবশ্য সময়ই বলবে।
রায়গঞ্জ থেকে বিশ্বনাথ দাস ও প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।