গাড়ির ডালা ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো। তাতে পাম্প সেট লাগিয়ে জলের স্রোত তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম উপায়ে। জল ভর্তি ডালায় জীবন্ত মাছ নিয়ে দ্রুত গতিতে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশে ছুটছে পিকাপ ভ্যানগুলি। শহরের কালীবাড়ি এলাকায় পাশাপাশি শহরের দুটি রেলগুমটি এলাকায় গাড়ির ঝাঁকুনিতে মাছের গাড়িগুলি থেকে উপচে পড়ছে মাছের আষ্টে গন্ধযুক্ত জল। খরার আবহাওয়াতেও রাস্তা ভিজে রয়েছে। কোনও সময় নোংরা জল পড়ছে পথচারীদের শরীরে। আষ্টে জলে ভিজে শিক্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের সুকান্ত মোড় ও বিবেকানন্দ মোড় সংলগ্ন দুটি রেলগুমটি দিয়ে যাতায়াত যেনও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে পথচারীদের মনে। প্রতিদিন এমন পরিস্থিতি চোখের সামনে দেখেও উদাসিন ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ ও ভলান্টিয়াররা। আগে রাতেই যেতো মাছের গাড়িগুলি তাতে কোনও সমস্যা ছিল না তবে বেশ কয়েক মাস যাবৎ সারাদিনই মাছের গাড়িগুলি যাচ্ছে। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথ চলতি মাবুষদের। সাধারণ মানুষের দাবি, দিনের বদলে যেনও এই মাছের গাড়িগুলি রাতেই যায় প্রশাসন-এর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
এই মাছের গাড়িগুলির জল শরীরে পড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা মুখে মুখে প্রচার হতেই রাজ্য সড়ক দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করছেন আমজনতা। স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় কুমার সাহার কথায়, ‘স্থানীয় বয়রা কালিমাতার মন্দিরে অভিমূখে সুকান্ত মোড় এলাকার রেলগুমটি পায়ে হেঁটে পাড় হতে গিয়ে সকাল বেলায় রাস্তায় পড়ে থাকা মাছের আঁশটে গন্ধযুক্ত জল পেড়িয়ে তবেই আমাদের মন্দিরে যেতে হয়। নিত্যদিন এ ধরনের ঘটনা চলছে কালিয়াগঞ্জের রাস্তায়।’
মাছ ভর্তি গাড়ির জলে তিতিবিরক্ত হন বলে জানান কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা প্রদীপ কুমার রায়। তার বক্তব্য, ‘প্রশাসনের উচিত বিষয়টি নজরে আনা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার দিকটা কোন ভাবেই দেখছে না প্রশাসন। প্রতিদিন প্রায় তিরিশটার মত মাছ ভর্তি গাড়ি রাস্তা ভিজিয়ে কালিয়াগঞ্জের উপর দিয়ে যায়। নাকে রুমাল দিয়ে সুকান্ত মোড় এবং বিবেকানন্দ মোড় রেল গুমটি এলাকায় যাতায়াত করতে হয়।’
এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান রাম নিবাস সাহা জানান, বিষয়টি তিনি দেখছেন। পুলিশ প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত মাছ ভর্তি গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা। এতে সমস্যা কমতে পারে। শহরের রাস্তা তাতে পরিষ্কারও থাকবে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলবেন বলে জানিয়েছেন।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।