South 24 Parganas: রেকর্ড সময়ে মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র দিয়ে নজির গড়ল রাজ্য

আরও পড়ুন

নির্ধারিত সময়ের আগেই মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্র দিয়ে নজির গড়ল রাজ্য সরকার। “মৎস্যজীবী বন্ধু” প্রকল্পের আওতায় এপর্যন্ত সাত লক্ষর বেশি মৎস্যজীবীর নাম নথিভুক্ত করে তাদের কিউ আর কোড যুক্ত পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি অভ্যন্তরীণ মৎস্যজীবী এবং আড়াই লক্ষের বেশি সামুদ্রিক মৎস্যজীবী রয়েছেন। রাজ্যের মৎস্যজীবীদের পরিচয় পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে আট মাসের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাদের তথ্যপঞ্জি তৈরির কাজ সরকার শেষ করেছে বলে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি জানান, ওই প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে কোনও মৎস্যজীবীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ৯টি পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গত বছর থেকে শুরু হওয়া মৎস্যজীবীদের ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ৩ হাজার ২০০ জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ওই ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের অধীনে মৎস্যজীবীরা স্বল্প সুদে দু’ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান। এই ঋণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে বেশি সংখ্যক ব্যাঙ্ককে যুক্ত করতে মৎস্যদফতর লাগাতার আলোচনা চালাচ্ছে।

গতবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের সমস্ত মৎস্যজীবীকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তার জেরে সরকারি নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। গত বছর নভেম্বরে দুয়ারে সরকারের সময় রাজ্যজুড়ে আবেদন নেওয়া হয়েছিল। কার্ডের মালিকের যাবতীয় তথ্য জানার জন্য তাতে রয়েছে কিউআর কোড। ফলে কার্ডে ছাপানো অক্ষর অস্পষ্ট হয়ে গেলেও কোড থাকার কারণে সেটি স্ক্যান করলে সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীর সমস্ত তথ্য জানা যাবে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাছ উৎপাদনে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে থাকলেও, সর্বাধিক নথিভুক্ত মৎস্যজীবী রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে। এই জেলায় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে ২’লক্ষ ২৬ হাজারেরও বেশি মৎস্যজীবীকে। পূর্ব মেদিনীপুরে এই সংখ্যা দু’লক্ষ চার হাজারের কিছু বেশি। এতদিন মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে এমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এবার তা হওয়ায় ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে সুবিধা হবে। নাম নথিভুক্ত থাকার মানে, কোনও দুর্ঘটনা কিংবা সমস্যা হলে, সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীর ব্যাপারে সব তথ্য এক জায়গায় থাকবে। ফলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা নিতে পারবেন। যে সব মৎস্যজীবী ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন অথচ কার্ড হাতে পাননি, তাঁদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তা করলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close