রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলিকে বিশেষ অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর শতবর্ষ প্রাচীন ৯হাজার ২১২ টি স্কুলকে চিহ্নিত করে তাদের অনুদান দিয়েছে। যেনও ওই সব স্কুল নিজেদের ভবন সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করতে পারে। এই তালিকায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত স্তরের স্কুলই রয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই খাতে পূর্ব মেদিনীপুরের সর্বাধিক ১হাজার ২৮৬টি স্কুল এই অনুদান পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ১হাজার ০৪৫ টি স্কুল এই অনুদান প্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে। অনুদান প্রাপ্তির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। ওই জেলার ৮৮০ টি প্রাচীন স্কুল। যারা শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে।
কলকাতা ও জেলার শতাব্দীপ্রাচীন স্কুলকে বিশেষ অনুদান দিতে তাদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় জানিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান- ইতিমধ্যে দফতর ১০০ বছরের স্কুলের তালিকা তৈরি করেছে। ধাপে ধাপে সমস্ত প্রাচীণ ও ঐতিহ্যবাহী স্কুলের তালিকা তৈরি হবে। এরা প্রত্যেকেই সরকারি অনুদান পাবে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গেছে- জেলা স্কুল ইন্সপেক্টররা সমীক্ষা করে এই জেলা ভিত্তিক তালিকা তৈরি করেছেন। সমীক্ষা রিপোর্টে স্কুল ভবন গুলির অবস্থা এবং অন্যান্য প্রয়োজনের কথাও উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতেই এই অনুদান দেওয়া হয়েছে। স্কুল ভবনের সংস্কার পানীয় জল শৌচাগার তৈরি আধুনিকীকরণ বড়সড় বা ছোটখাটো মেরামতির জন্য এই অনুদানের টাকা খরচ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এই খাতে সর্বাধিক ২৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে স্কুল ভবন মেরামতির জন্য। ছোটখাটো মেরামতির জন্য সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের জন্য গড়ে ৬০ হাজার এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনার সংস্কারের জন্য গড়ে ৩৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে স্কুল গুলিকে।
কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।