মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদে নিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমল নাথের ইস্তফা নেওয়ার এই ঘটনাটি সামনে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। জানা যায়, গত মাসের একটি ঘটনা নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সু-অবহিত মহলের একাংশ মনে করছেন, কমল নাথের এই ইস্তফার সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের হয়তো কোনো যোগসূত্র রয়েছে। সূত্রের খবর, গত মাসে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন শিবরাজ একটি বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশ করতে ওঠেন, যেখানে সেই সময় কমল নাথ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ বলেন, “আমি এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখছি। অথচ বিরোধী দলনেতাই এখানে অনুপস্থিত।”
স্বাভাবিকভাবেই শিবরাজের এই মন্তব্যের পরই এই বিষয়ে কমল নাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি ওঁর (শিবরাজ সিং চৌহান) কথা শুনব, নাকি আমজনতার কথা শুনব, নাকি আমার দলের কর্মীদের কথা শুনব?” কার্যত, এত দিন ধরে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেস দলের সভাপতিত্ব করছিলেন কমল নাথ। এই বন্দোবস্তে কংগ্রেসের ‘এক পদ, এক ব্যাক্তি’ নীতি নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এই সমালোচনার সম্মুখীন হয়েই কমল নাথ বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলেই অনেকে মনে করছেন। জানা গেছে, ইস্তফা দিলেও এখনও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ তাঁরই দখলে থাকছে। যদিও কমল নাথ বলেছেন, ” রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতে আর মাত্র ১৮ মাস সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে। আমি যাতে পুরোপুরি সেই কাজে মনোনিবেশ করতে পারি, সেই কারণেই বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।”
সূত্রের খবর, দু-মাস আগেই বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন কমল নাথ। সেই আবেদনই নাকি এত দিনে গ্রাহ্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, ” বিরোধী দলনেতার পদে কমল নাথের ইস্তফা গ্রহণ করা হল এবং তাঁর জায়গায় এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে দলের প্রবীণ নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গোবিন্দ সিংয়ের হাতে। এত দিন তিনি বিধানসভায় কংগ্রেসের উপ-দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসেছিলেন।”