ছোট্ট একটি দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে বারো জন জেনারেলকে হারালো রাশিয়া। প্রায় দু মাস যাবৎ একটি দেশের রাজধানীর দখল নিতে পারছে না বিশ্বের মহা শক্তিধর রাষ্ট্রটি। যা নিয়ে ইতি মধ্যেই শোরগোল পরে গিয়েছে সারা পৃথিবীজুড়ে। যুদ্ধের সম্মুখসারিতে প্রায় ১২ রুশ জেনারেলকে হত্যা করেছে বলে দাবি করছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারাই। রুশ বাহিনীর ইউনিটগুলির অবস্থান সম্পর্কে কিয়েভকে গোয়েন্দাতথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করে আসছে। এমন যুদ্ধে বেশ কয়েকজন রুশ জেনারেলকে হত্যার সুযোগ পায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। বিশ্বের সমরবিদদের বিস্মিত করেছে এই যুদ্ধে এত জন রুশ জেনারেল হত্যার ঘটনা।
ইউক্রেনকে সহযোগিতামূলক গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে রুশ জেনারেলদের হত্যার ক্ষেত্রে। যদিও এই গোয়েন্দা সহায়তার ফলে কতজন রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন, কর্মকর্তারা তা নির্দিষ্ট করে বলতে অস্বীকার করেছেন। এই গোপন সহায়তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। রুশ সামরিক বাহিনীর অবস্থান এবং ভ্রাম্যমাণ সদর দপ্তর-সহ অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য সরবরাহে জোর দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে এসব অবস্থানগত তথ্যের সমন্বয় করেন। রুশ কর্মকর্তারা শত্রুর অবস্থান বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গোলাবর্ষণ ও অন্যান্য হামলা চালায়।
তবে কীভাবে রুশ সেনাদের সদর দফতর থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্কিন কর্মকর্তারা। তাঁদের আশঙ্কা, এতে তাঁদের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াগুলি ঝুঁকির মুখে পড়বে। ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, তারা এসব তথ্যের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলবে না।