কাগজে কলমে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও লোডশেডিং-এ স্তব্ধ হয়ে যায় সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা। মাত্র ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সেখানে একটি ইনভার্টার এবং ব্যাটারির ব্যবস্থা হলেই চলতে পারে নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক পরিষেবা। সরকারি হাসপাতাল অথচ সেখানে নেই বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা বলে অভিযোগ। লোডশেডিং হলেই প্রায় ব্যহত পরিষেবা হাসপাতালের মত জরুরী প্রতিষ্ঠানে। এমন বেহাল পরিকাঠামোর চিত্র উঠে এল আমাদের ক্যামেরায়। ঘটনাস্থল রায়গঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। রায়গঞ্জ শহর থেকে মাত্র সাড়ে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। যেখানে রায়গঞ্জ ব্লকের শীতগ্রাম, রামপুর, মহারাজা-সহ ১২ টি গ্রামের প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ পরিষেবার জন্য আসেন। সাধারণ প্রসব সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তারা এই হাসপাতালের উপরই নির্ভরশীল। সেখানেই এমন অব্যবস্থা?
আমরা কথা বলেছিলাম চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনদের সঙ্গে, তারা রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বললেন, একদিকে দুঃসহ গরম তারউপর কখনও কখনও ২-৩ ঘন্টা বা সারা রাতই বিদ্যুৎ থাকে না। সেই সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। আর অসুস্থ হয়ে পরেন চিকিৎসাধীন রোগীরাও। চরিদিকে এত উন্নয়ন হলেও এই হাসপাতালে কেনও একটি জেনারেটর কিংবা ইনভার্টার-সহ ব্যাটারির ব্যবস্থা হচ্ছে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। অব্যবস্থার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সর্বোপরি চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের।
হাসপাতালে কর্তব্যরত এক স্টাফ নার্স বলেন, দিনের বেলা যেমন তেমন, রাতে সমস্যা আরও তীব্র হয়। গরমের পাশাপাশি মোমবাতি জ্বালিয়ে পরিষেবা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে দূর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকেই যায়। একাধিকবার এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও সমস্যা মেটেনি।
অন্যদিকে এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আলতামাজ আলি সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা স্বাস্থদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে। রায়গঞ্জের মহারাজা হাটের এই সরকারি হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থার হাল কবে ফিরবে সেদিকে তাকিয়ে সকলেই। কবে মিটবে বিদ্যুতের অভাব? কবেই বা পাবেন রোগীরা ভালো চিকিৎসা পরিষেবা ?
Fourteen Time Line, Uttar Dinajpur