ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, নিহত এক কাশ্মীরি পণ্ডিত

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুন হলেন এক কাশ্মীরি পণ্ডিত। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবকের নাম রাহুল ভাট, বয়স ৩৬। জঙ্গিদের গুলিতে খুন হলেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে কাশ্মীর উপত্যকার চাদোরা গ্রামে। মৃত ব্যক্তি রাহুল ভাট বুদগ্রাম জেলার রেভিনিউ বিভাগে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য কাশ্মীরের তহশিলদারির অফিসে। স্থানীয় তহশিলদারের কার্য্যালয়ে ঢুকে রাহুলকে নিশানা করে জঙ্গিরা। পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে।

রাহুল ভাটের মৃত্যুর প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল

প্রাথমিক খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, আততায়ীরা সংখ্যায় ছিল দুজন। ৩৬ বছর বয়সী এই সরকারি কর্মচারীর খুনের প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ শুরু হয় কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয় এদিন। নানা জায়গায় মোমবাতি মিছিলও আয়োজন করা হয় এই ঘটনার প্রতিবাদে। 

উল্লেখ্য, গুলি চালানোর এই ঘটনাটি জানিয়ে ট্যুইট করে কাশ্মীর জোন পুলিশ। এই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা উপত্যকা জুড়ে জোরদার পুলিশি অভিযান শুরু করেছে সেনা বাহিনী। এদিনের এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। কাশ্মীরের পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতি শুক্রবার সকালে পুলওয়ামায় নিহত রাহুল ভাটের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, জানা গিয়েছে প্রশাসন তাঁদের সেই অনুমতি দেয়নি। 

এই নিয়ে আজ সকালে মেহবুবা মুফতি একটি ট্যুইট করে জানান, “কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং কেন্দ্রের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমরা রাহুলের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম। আমাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে। কারণ কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং মুসলমানরা একে অপরের যন্ত্রণার প্রতি সহানুভূতিশীল। তাঁদের পৈশাচিক সাম্প্রদায়িক ভাবনার সঙ্গে এই ভাবনার খাপ খায় না।” 

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য একটি বিশেষ এমপ্লয়মেন্ট প্যাকেজ চালু করা হয়। সেই প্যাকেজের দরুণ চাকরি পেয়েছিলেন প্রায় ৪ হাজার কর্মচারী। জানা গিয়েছে, তহশিলদারের অফিসে গত ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন রাহুল ভাট। তাঁর শেষকৃত্যের জন্য তাঁর মরদেহ আনা হয়েছে জম্মুতে। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ মাসে এই নিয়ে তিন জন কাশ্মীরি পণ্ডিত খুন হলেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও দুজন। 

অন্যদিকে, এদিন এই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উপত্যকা জুড়ে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরে ১৬৮ টি জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনী তাতে প্রায় ৭৫ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২১ জন বিদেশি নাগরিক। 

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close