মাংসের বাজারে আগুন, গরিবদের নাভিশ্বাস

0
67

রাত পোহালেই রবিবার , নিখাদ ছুটির দিন রবিবার জমিয়ে মাংস খাওয়ার অভ্যেস আম-বাঙালির। অথচ মূল্যবৃদ্ধির কারণে মাংস খাওয়া প্রায় ভুলতে বসেছেন খাদ্য রসিক বাঙালি। ক্যানিং থেকে কোচবিহার সারা রাজ্য জুড়ে বাড়ছে মাংসের দাম। খাসির মাংস বহু আগেই ৭০০ টাকা ছুঁয়েছে। পালক- সহ দেশি মুরগির দাম সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রায়গঞ্জ, শিলিগুড়িতে। পালক সহ ব্রয়লার উত্তরবঙ্গে ১৭০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই পালক ছাড়া ব্রয়লার মুরগি কিনতে অভ্যস্ত। তার দাম ,২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জে। কলকাতার পাইকারি বাজারে ১৬৭ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। তার প্রভাব গিয়ে পড়ছে বিভিন্ন খুচরো বাজারগুলিতে। রায়গঞ্জের মুরগি বিক্রেতা বিশু দাস এবং গোপাল দাসেরা জানান হোলির পর থেকে মুরগি বিক্রিতে মন্দা দেখা দিয়েছে।

ঈদের সময় থেকেও মুরগির বাজার খুব তেজী ছিল। হোলি কিংবা ঈদের পর থেকে আর দাম কিছুতেই নামছে না। অন্যদিকে পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের বক্তব্য- গরমের সময় উৎপাদন এমনিতেই হ্রাস পায়, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি পোল্ট্রি মুরগির খাবারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। সেইসঙ্গে পাঁঠা -খাসী কিংবা মেষ পালন মাত্রাতিরিক্ত কমেছে। ফলে সব মিলিয়েই মাংসের মূল্যবৃদ্ধিতে রীতিমতো খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন বাংলার ভোজন রসিকেরা। খুচরো মাংস বিক্রেতারা জানিয়েছেন-উৎপাদন না বাড়লে পাঁঠা-খাসী কিংবা মুরগির দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই। অন্যদিকে ক্রেতাদের বক্তব্য- করোনার পর থেকে সব জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। তাই মাংস খাওয়া থেকে মুখ না ফেরালেও স্বল্প পরিমাণ মাংস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।