আদালত তিন দিন সময় ধার্য্য করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের ভিডিওগ্রাফি করার। আজ তা শেষ হল। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি বসবে। গতকাল রবিবার এই সমীক্ষার দ্বিতীয় দিনে মসজিদ চত্বরে একটি কূপ এবং একটি কৃত্রিম পুকুরের সমীক্ষা করা হয়েছে। আদালত কমিশনের সদস্যরা সেই সমীক্ষা করেন। সমীক্ষা শেষে তারা জানিয়েছে, ওই কূপটি নাকি ধ্বংসাবশেষ দিয়ে ভরা ছিল। অন্যদিকে কৃত্রিম পুকুরটিতে জল রয়েছে, এবং পুকুরে নানা রঙিন মাছ রয়েছে।
গতকাকের সমীক্ষায় আরও জানা যায়, মসজিদের ভেতরের দেওয়ালে স্বস্তিকা চিহ্ন এবং প্রদীপের মতো মূর্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। মসজিদের পশ্চিম দিকের দেওয়ালে এই মূর্তির নিদর্শন পাওয়া যায়। পুরোনো হয়ে যাওয়ায় চুন এবং রঙের কারণে অনেকগুলো মূর্তি নষ্টও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়। আজ তিন দিনের ভিডিওগ্রাফি শেষ হওয়ার পর সরকারি আইনজীবী মহেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে জানান, “আজ কাজ শেষ করল সার্ভে কমিশন। তিনটি গম্বুজ, পুকুর, ভূ-গর্ভস্থ বেসমেন্ট এসব কিছুরই ছবি তুলে ধরেছে তারা। আজ রিপোর্ট তৈরি করবেন কমিশনের তিন সদস্য মিলে এবং সেটা আগামীকাল আদালতে পেশ করা হবে।”
উল্লেখ্য, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়াই এই জ্ঞানবাপী মসজিদ অবস্থিত। এর আগে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন পাঁচ জন হিন্দু মহিলা। তাঁদের বক্তব্য, মসজিদের বাইরের দেওয়ালে যেসব মূর্তিগুলি খোদাই করা রয়েছে সেগুলি তারা নিয়মিত পুজো করতে চান। সেইসব মূর্তির পুজো এখনও করা হয়, তবে সেটা বছরে একবারই। মসজিদে এক দফা সমীক্ষা করা হয় গত ৬ মে। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়ে যায় মসজিদের ছবি তোলা নিয়ে।
মসজিদ কমিটির তরফ থেকে বলা হয়, মসজিদের মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করবার অনুমতি দেয়নি আদালত। অন্যদিকে আবেদনকারীদের দাবি, আদালত ভিডিওগ্রাফি চালিয়ে যেতে বলেছে তাদের। উল্লেখ্য, গতকাল মসজিদ চত্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিএম এবং পুলিশ কমিশনার। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাদী, বিবাদী পক্ষ এবং তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত হন সেখানে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন এবং তাঁর পুত্র আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈনও উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। এরপর সকাল ৮ টা থেকে সমীক্ষা পর্ব শুরু হয় গতকালকে।