যোগী আদিত্যনাথ ফের উত্তরপ্রদেশের নাম বদল করতে চলেছেন। তিনি এই বিষয়ে খুব সম্প্রতি একটি ট্যুইট করেছেন, এরপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্ণৌতে স্বাগত জানিয়ে একটি ট্যুইট করেন। তাতে তিনি লেখেন, “শেষ অবতার ভগবান লক্ষণের পবন নগরী লক্ষ্ণৌয়ে আপনাকে স্বাগত এবং অভিনন্দন।”
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্ণৌ শহরে লক্ষণের একটি বড়সড় মূর্তি স্থাপন করতে চলেছে যোগী সরকার। গত পাঁচ বছরে যোগী সরকার প্রাচীন শহরের বেশ কিছু নাম বদলে দিয়েছে৷ যেমন তার মধ্যে রয়েছে এলাহাবাদ, ফৈজাবাদ, মোঘলসরাই স্টেশন। এলাহাবাদের নাম বদলে করা হয়েছে প্রয়াগরাজ, ফৈজাবাদের নাম বদলে রাখা হয়েছে অযোধ্যা এবং মোঘলসরাই স্টেশনের নামের পরিবর্তে রাখা হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন।
লক্ষ্ণৌ শহরে লক্ষণের মূর্তি স্থাপন নিয়ে শ্রী লক্ষণপীঠের সেবান্যাসের প্রধান ধীরেন্দ্র বশিষ্ঠ এর আগে জানিয়েছিলেন যে, “এই মন্দির তৈরি করার জন্য এক একর জমি পাওয়া গিয়েছে। ওই জমিতেই ৮১ ফিট উঁচু লক্ষণের মন্দির নির্মাণ করা হবে। মন্দির তৈরি হতে প্রায় ৫ বছর সময় লেগে যাবে বলে আমার ধারণা। সুনীল শ্রীবাস্তব এবং মীনাক্ষী তিওয়ারি এই মন্দির নির্মাণ করার পরিকল্পনার দায়িত্বে রয়েছেন। মন্দির স্থাপিত হবে বাস্তু মেনেই। রীতিমতো রাজকীয় ভাবে তৈরি করা হবে লক্ষণের এই মন্দির৷”
শুধুমাত্র লক্ষ্ণৌই নয়, নাম পরিবর্তন হতে পারে সুলতানপুর, আলিগড়, মির্জাপুর, এবং ফিরোজাবাদেরও। এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য, তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সুলতানপুর নাম বদলে হয়ে যাবে কুশ ভবনপুর, আলিগড় হবে হরিগড়, ফিরোজাবাদ হয়ে যাবে চন্দ্রনগর এবং মির্জাপুর নাম বদলে হয়ে যাবে বিন্ধ্যধাম। যোগী যেভাবে নবাবের শহরকে ট্যুইটারে পবন নগরী বলে উল্লেখ করেছেন তাতে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ের নাম বদলের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বহু বিজেপি নেতারাই লক্ষ্ণৌ শহরকে লক্ষণপুরী, লক্ষণপুর ইত্যাদি নামে ডেকে থাকেন।